করোনায় ২ লাখ মানুষ মরতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রত্যেক দেশেই সতর্কতা নেয়া হয়েছে। তারপরো মৃত্যুর কমানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এখনই এই ভাওরাস না থামাতে পারলে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে যেকোন সময়। যুক্তরাষ্ট্রেই লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত দুই লাখ মারা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির সরকারের সংক্রামক রোগ বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ। খবর রয়টার্সের।

এদিকে শিগগিরই চিকিৎসা রসদ ফুরিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক ও নিউ অরলিন্সসহ কয়েকটি বড় শহর। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের পরিচালক ডা. অন্থনি ফাউসি বলেন, এই বৈশ্বিক মহামারী যুক্তরাষ্ট্রে এক থেকে দুই লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন দাবি করলেন। ২০১০ সাল থেকে আমেরিকায় ইনফ্লুয়েঞ্জায় প্রতি বছর ১২ হাজার থেকে ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটছে। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সেন্টার্সের (সিডিসি) ওয়েবসাইটে এমন তথ্য দেয়া আছে।

১৯১৮-১৯১৯ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জা বৈশ্বিক মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রে ছয় লাখ ৭৫ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল। ইতিমধ্যে মার্কিন বেশ কয়েকটি বড় শহরে ভেন্টিলেটরের মারাত্মক ঘাটতি দেখা গেছে। আর এমন একটি সময়ে এই ঘাটতি যখন দেশটিতে শনিবার পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ১০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ দুদিন আগের চেয়েও মৃত্যু সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত এক লাখ ২৩ হাজার লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেন, আগামী ৫ এপ্রিল নাগাদ শহরটিতে শত শত ভেন্টিলেটর, মাস্ক, গাউন ও অন্যান্য সরবরাহ লাগবে। আর নিউ অরলিন্সে ৪ এপ্রিলের মধ্যে সব ভেন্টিলেটর ফুরিয়ে যাবে। আর লুইজিয়ানার কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত জানেন না যে জাতীয় মজুত থেকে তারা কোনো ভেন্টিলেটর পাবেন কিনা।

শহরটির গভর্নর জন বিল ইডওয়ার্ডস বলেন, বাণিজ্যিক বিক্রেতাদের কাছ থেকে ১২ হাজার ভেন্টিলেটরের অর্ডার দেয়ার চেষ্টা করছে লুইজিয়ানা।

আপনি আরও পড়তে পারেন