বরাদ্দের সাথে প্রাপ্তির যত গড়মিল কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলাতে

 

রিয়াজ উদ্দীন, কালীগঞ্জ, (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি ॥
করোনা সংক্রমনরোধে সারাদেশে চলছে লকডাউন। কাজ না থাকায় দেশের দিনমজুর শ্রেণীর মানুষের মধ্যে চলছে পেটের জ্বালা। এমন অবস্থা মোকাবেলা করতে সরকারের উপরি মহলের জনপ্রতিনিধিসহ কর্মকর্তারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। লকডাউন চলাকালীন সময়ে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের অন্তত খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য দেশের সকল জেলায় পাঠানো হয়েছে ত্রান সামগ্রী। যা পাঠানো হয়েছে সকল জেলায় জেলায়। দক্ষিণা ালের অন্যতম জনবহুল ঝিনাইদহ জেলাতেও এ সকল ত্রান সামগ্রী ইতোমধ্যে পৌছে গেছে। ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর এ ৬ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ জেলা। এ ত্রানসামগ্রীগুলো অসহায় মানুষের হাতে পৌছে দিতে সকল জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কর্মকর্তারা দরিদ্র জনগোষ্টির হাতে পৌছে দিতে তালিকা চুড়ান্ত করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। লকডাউন চলাকালীন সময়ে সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে এ জেলার দানশীলরা। পিছিয়ে নেই বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো। সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের আশা যে পরিমানে ত্রানসামগ্রী এসেছে সঠিকভাবে বন্টন হলে কেউ না খেয়ে থাকবেনা।
ঝিনাইদহ জেলা দুর্যোগ ও ত্রান কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, ঝিনাইদহ জেলার জন্য এ পর্যন্ত মোট সরকারি বরাদ্দ পৌছেছে ৫’শ ২৮ মেট্রিঃ টন চাউল ও নগদ ১৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৫’শ টাকা। এরমধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলাতে প্রথম দফায় ৫৯ মেট্রিঃ টন চাউল ও ১ লক্ষ টাকা দ্বিতীয় দফায় ২৯ মেট্রিঃ টন চাউল ও ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকাসহ মোট ৮৮ মেট্রিঃটন চাউল এবং ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা পৌছেছে। শৈলকুপা উপজেলাতে প্রথম দফায় ৩৬ মেট্রিঃটন চাউল ও ১ লক্ষ টাকা,দ্বিতীয় দফায় ১৪ মেট্রিঃটন চাউল ও ১ লক্ষ ২৪ লক্ষ টাকাসহ মোট ৫০ মেট্রিঃ চাউল মোট ২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা এসেছে। কালীগঞ্জ উপজেলাতে প্রথম দফায় ৩০ মেট্রিঃটন দ্বিতীয় দফাতে ১১ মেট্রিঃ টন মিলে মোট ৪১ মেট্রিঃ চাউল এবংং নগদ মোট ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পৌছেছে। মহেশপুর উপজেলাতে প্রথম দফায় ৩২ মেট্রিঃটন দ্বিতীয় দফাতে ১২ মেট্রিকটন মিলে মোট ৪৪ মেট্রিঃটন চাউল দু’দফা মিলে নগদ মোট ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পৌছেছে। হরিনাকুন্ড উপজেলাতে দু’দফা মিলে মোট ৩১ মোট্রিঃ চাউল ও নগদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এছাড়াও কোটচাঁদপুর উপজেলাতে দু’দফা মিলে মোট ২২ মেট্রিঃ চাউল ছাড়াও নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পৌছেছে। যা বিতরনের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে ত্রান সামগ্রীর কিছু কিছু বিতরনও শুরু হয়েছে।

কালীগঞ্জ দায়িত্বে থাকা ত্রান ও দুর্যোগ কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ জানান, এ পর্যন্ত আমরা কালীগঞ্জ উপজেলাতে সরকারিভাবে ৩ মেট্রিঃ চাউল ও ৫ হাজার টাকা বিতরন করেছি। যা চলমান রয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমান ত্রান ও দূর্যোগ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মলয় বিশ্বাস জানান, এ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে ৩ টন করে চাউল ও নগদ ১০ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। আর শৈলকুপা পৌরসভার জন্য ৪ টন চাউল ও ১ লক্ষ টাকা জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিতরন করা হচ্ছে।
হরিনাকুন্ডু উপজেলা ত্রান ও দূর্যোগ কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানান, এ পর্যন্ত তিনি পাওয়া ২৩ মে’টন চাল ও ১ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪ মেট্রিকটন চাউল ও নগদ ৮০ হাজার টাকা বিতরন করেছেন বলে তিনি জানান।
মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার দায়িত্বে থাকা ত্রান কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা জানান, এ পর্যন্ত মহেশপুর উপজেলাতে হাতে পাওয়া ৮ মেট্রি’টন চাউল ও নগদ ১ লক্ষ টাকার মধ্যে সবগুলোই বিতরন করে দিয়েছেন। এখনও অনেক প্রয়োজন হাতে আসলে আবার বিতরন করবেন।
এছাড়াও কোটচাঁদপুর উপজেলাতে প্রাপ্ত ৭ মেট্রিঃটন চাউল ও নগদ ১ লক্ষ টাকার মধ্যে সব বিতরন করে দিয়েছেন। পরের বরাদ্দ আসলে আবার বিতরন করা হবে। তবে জেলা থেকে বরাদ্দ দেয়া ত্রানের সাথে মহেশপুর ও কোটচাদপুরের প্রাপ্তির হিসাবে ব্যাপক গরমিল রয়েছে। এ সম্পর্কে এ দুটি উপজেলাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেহেরুন্নেছা জানান, আমি যতটুকু হাতে পেয়েছি ততটুকুর কথা জানালাম।
তবে ঝিনাইদহ জেলা ত্রান ও দুর্যোগ কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, আগেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ফলে হাতে না পাওয়ার কোন কারন দেখছি না।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন