কেরানীগঞ্জ স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কেরানীগঞ্জ :

করোনা পরিস্থিতির কারনে সারাদেশে চলছে সাধারন ছুটি। ছুটি এবং বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের কারনে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় কেরানীগঞ্জে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। বিশেষ করে ধান ঘরে তোলার মৌসুম হওয়ায় শ্রমিকের অভাবে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে দু:চিন্তা ছিল এখানকার কৃষকদের। এ অবস্থায় ফসল ঘরে তুলতে কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে এ কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন। এদিন সকাল ৭টা থেকে উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের নতুন বাক্তারচর গ্রামের মৃত কৃষক রুহুল আমিনের স্ত্রী নাজমা বেগমের ৪ বিঘা জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেয় তারা। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আসাদুজ্জান রাসেলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা জসিম মাহমুদ, আগানগর ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ রানা, সহ সভাপতি মো: আলমগীর, কোন্ডার সাধারন সসম্পাদক আল আমিন, দুলাল মন্ডল, মিলন, মাহাবুব, অমিত হাসানসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী এ কার্যক্রমে অংশ নেয়। ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন, ‘সারাদেশে করোনা পরিস্থিতির শ্রমিক সংকটে কৃষকরা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের ধান কেটে দিতে। প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা ঢাকা (দক্ষিন) জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ধান কাটায় এগিয়ে এসেছি। তিনি আরো বলেন, ‘যে কৃষক আমাদের ধান কেটে দিতে বলবে আমরা তার জমিতে গিয়ে ধান কেটে দিয়ে আসবো।’ এবিষয়ে ঢাকা জেলা (দক্ষিন)ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এহসান আরাফ অনিক জানান, দেশের যেকোন দুর্যোগ এবং ক্রান্তিলগ্নে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। এবারও করোনা মোকাবিলায় অসহায় কর্মহীনদের এবং বোরো মৌসুমে কৃষকদের পাশে থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ বৃহস্পতিবার প্রাথমিকভাবে কোন্ডা ইউনিয়নে ৪ বিঘা ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’ এ ব্যাপারে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরীর বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় অসহায় কৃষকরা লোকবল না থাকায় বিপাকে পড়েছিলো। কিভাবে ধান কাটবে, বাড়ি নিবে, মাড়াই করবে কোথা হতে অর্থ সহায়তা পাবে তা নিয়ে দু‌শ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলো। এমনই এক ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অসহায় এসব কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি তাদের এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই। শুধু ছাত্রলীগ নয়, দেশের এই মহাদুর্যোগে সব শ্রেনী পেশার মানুষকে সচেতন থেকে একে অপরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্টায় একদিন না একদিন এই বিপর্যয় আমরা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব।

আপনি আরও পড়তে পারেন