কেরানীগঞ্জে জমি কিনে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন আওয়ামীলীগ নেতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কেরানীগঞ্জে রুহিতপুর সোনাকান্দা মৌজায় জমি কিনে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ আপেল মাহমুদ। তিনি রুহিতপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক। তার অভিযোগ, সোনাকান্দা মৌজার আরএস ৮৯৯ খতিয়ানের ৬৯৪ দাগের ৫৭ শতাংশ জমি বৈধ মালিকদের কাছ থেকে তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ক্রয় করেন। কিন্তু পাশের জমির মালিক (আরএস খতিয়ান ২১৭, দাগ নং ৬৯৫) আপেল মাহমুদের ক্রয় করা জমিকে তাদের জমি বলে দাবি করে আসছে। এজন্য তারা আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। থানায় জিডি করা, কথিত অনলাইনে পোর্টালে নিউজ প্রচার সহ নানাভাবেই পাশের জমির মালিকরা আপেল মাহমুদকে হয়রানী করছে। সামাজিকভাবে অপদস্ত করছে। জানা গেছে, পাশের জমির মালিক শহিদুল ইসলাম রাজু, জাকির ও আব্দুল ওহাব। তাদের জমির দাগ নং ৬৯৫ আর আপেল মাহমুদের জমির দাগ নং ৬৯৪। রাজু গংরা কাগজপত্র অনুযায়ী সঠিক মাপজোক না করেই ৬৯৪ দাগের জমিকে ৬৯৫ দাগের বলে দখলে রেখেছিল। আপেল মাহমুদ ওই জমি ক্রয় করার পর দখল নিতে গেলে রাজু গংরা তাদের বাধা দেয়। এব্যাপারে গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারি আপেল মাহমুদ থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। ২৮ শে ফেব্রুয়ারি এনিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হয়। সালিশে উভয় পক্ষ ছাড়াও রুহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বশির মেম্বার, শাহাবুদ্দিন মেম্বার, আমির মেম্বার, মাতবর শাহরিয়ার, অপুসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে বশির মেম্বার জানান, সালিশ বৈঠকে দুই পক্ষের কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায় রাজু গংরা ভুল করে ৬৯৪ দাগের জমি নিজেদের বলে দাবি করছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের জমি ৬৯৫ দাগে রয়েছে। আর আপেল মাহমুদ নিজের জমিতেই রয়েছেন। আপেল মাহমুদ বলেন, এরপর আমি জমিতে সীমানা দেয়াল দেই। এসময় রাজু গংরা বাধা দেয়। বাধা দেয়ার পর উল্টো থানায় গিয়ে আমার নামে মিথ্যা জিডি করে। এমনকি কথিত অনলাইনে আমাকে দখলদার বানিয়ে মিথ্যা নিউজ করে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে। আমার সম্মানহানী করতে রাজু গংরা নানাভাবে আমাকে হয়রানী করছে। এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষই জিডি করেছেন। দুটো জিডিই আমরা তদন্ত করে দেখছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন