নবাবগঞ্জে কালিগঙ্গার ভাঙ্গনে বসতবাড়ি ও কৃষিজমি বিলীন

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি.
ঢাকার নবাবগঞ্জের কালিগঙ্গা নদীর ভাঙ্গন গিলে খাচ্ছে শোল্লা ও কৈলাইল ইউনিয়নের অসংখ্য বসতবাড়ি ও কৃষিজমি। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে কোন্ডা, খতিয়া, পাতিলঝাপ, মেলেং, মাতাবপুর, পাড়াগ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন গৃহহীন হচ্ছে মানুষ। এতে নদীপারে ভাঙ্গন আতংক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানান, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তার ওপর মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু নদীতে হারিয়ে চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন। কালিগঙ্গার কড়াল গ্রাসে কমছে না তাদের দুর্দশা। ঘরবাড়ি হারিয়ে যাওয়া পরিবার গুলো বৈরি আবহাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
মেলেং গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, কালিগঙ্গার ভাঙ্গনে গত এক সপ্তাহে মেলেং গ্রামের ১০টি বসতবাড়ি ও কৃষিজমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে অচিরেই মেলেং ও পাড়াগ্রামের হাটবাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালিগঙ্গা নদীতে চলে যাবে।
শোল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান ভূইয়া কিসমত বলেন, সম্প্রতি শোল্লা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুর রহমান তারা মিয়া সাহেবের বাড়িটি কালিগঙ্গা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। সাথে নদী গর্ভে চলে গেছে কোন্ডা গ্রামের কবরস্থানসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি। দ্রুত ভাঙ্গনরোধ করা না গেলে অচিরেই শোল্লা ও কৈলাইল ইউনিয়নের ব্যাপক অংশ কালিগঙ্গা নদীতে বিলিন হয়ে যাবে। এই অ লে বাড়বে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের সংখ্যা।
নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু বলেন, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তাৎক্ষণিক অবহিত করেছি। ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করছে।
পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আইনুল হক বলেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির সাথে সাথে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত আটদিন আগে থেকে নবাবগঞ্জের সাদাপুর খাল ও কালিগঙ্গা নদীর খতিয়া ও মালিকান্দা পয়েন্টে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন পরিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সাথে আগামী কয়েকদিনে এ অ লে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন