শিষ্যদের মনোবল ধরে রাখার পরামর্শ জেমি’র

ফুটবলারদের করোনা আক্রান্তের খবরে ব্যথিত হয়েছেন জাতীয় দলের হেড কোচ জেমি ডে। ছাত্রদের সবসময় কাছ থেকে দেখেছেন। করোনাকালের শুরু থেকে আছেন ইংল্যান্ডে। সেখান থেকেই শিষ্যদের ভেঙ্গে না পড়ে মনোবল শক্ত রাখার পরামর্শ দেন তিনি। ফুটবলারদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে জেমি ডে বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘কঠিন সময়’ বলে উল্লেখ করেন। 

টেস্ট করালেই অধিকাংশের ফলাফল মিলছে পজিটিভ। ২৪ শিষ্যের ১৮ জনই করোনা আক্রান্ত। গুরুর কাছে এই সংবাদটি কখনো সুখকর নয়। সুদূর ইংল্যান্ডে বসে ছাত্রদের মানসিক অবস্থাটা আঁচ করতে পারছিলেন জাতীয় দলের হেড কোচ জেমি ডে। এমনিতেই দীর্ঘদিন দেখা নেই। তার উপর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দেশের ফুটবলে এমন দুর্যোগের ঘনঘটা বিষাদে রূপ নিয়েছে জেমি ডের অন্তরেও।

দুই বছর ধরে জামাল-মামুনুলদের  ফুটবল মাঠের রণকৌশলের নির্মাতা তিনি। লাল-সবুজের দলকে একটা অবস্থায় এনেছেন। পেশাদারি ফুটবল থেকে দূরে আছেন ফুটবলাররা। তার উপর দলে এমন ধস নামলে কূলকিনারা পাওয়া মুশকিল। বিপদের দিনে ছাত্রদের মনোবল ধরে রাখার পরামর্শ দিলেন। দ্রুত সুস্থতা কামনা করলেন ফুটবলারদের।

জেমি ডে বলেন, ‘পুনরায় যে করোনা পরীক্ষা করা হবে সেটি মহা গুরুত্বপূর্ণ। আমার বিশ্বাস স্বস্তির খবরই পাবো। আমি মনে করি না যে, এই ১৮ জনই আবার পজিটিভ হবে।’

আর, সংশয়ে থাকতে চায় না বাফুফে। দুই জায়গায় করা হবে ফুটবলারদের পরবর্তী টেস্ট। দুই জায়গার পরীক্ষার ফল যাদের পজিটিভ হবে, তাদের জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা করবে বাফুফে। দুই জায়গায় নেগেটিভ হলে তাদের মাঠে নামিয়ে দেবে অনুশীলন করতে। আর দুই প্রতিষ্ঠানের ফলাফল দুই রকম হলে তাদের আবার পরীক্ষা করানো হবে দুই তিন দিন পর। ফলাফল খারাপ হলেও শিষ্যদের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন জেমি। তারপরই সিদ্ধান্ত নিবেন প্রস্তুতি পর্বের।

জেমি বলেন, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। কারণ দলে সেরা খেলোয়াড়দেরই ডেকেছি। আবারো যদি তাদের করোনা পজিটিভ হয়, তাহলে সংকটে পড়বো। তাই সেরাদের তৈরি করার জন্যই আমাকে অপেক্ষা করতেই হবে।’

এছাড়াও, দেশে বসে প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও দেশের বাইরে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা নেই জেমির। ১৬ আগস্ট দেশে ফেরার কথা রয়েছে এই ইংলিশ কোচের।

আপনি আরও পড়তে পারেন