টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কলেজছাত্রীকে রাতভর গণধর্ষণের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ার তিন দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) নির্যাতনের শিকার ওই কলেজছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সুবিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
একই সাথে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত মামলার সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার সন্ধ্যার সময় উপজেলার নুটুরচর এলাকার স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি ব্রিজের কাছে পৌঁছালে কাগুজী আটা গ্রামের ছাইফুল, এনামুল, খালেদ, জালাল ও আলতাফ ওই শিক্ষার্থীর পথরোধ করে। তারপর মুখ চেপে ধরে পাশে থাকা একটি নৌকায় তুলে নিয়ে যায় চর।
সেখানে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে তারা। ভোরে তাকে নদীর পারে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটি বাড়ি ফিরে তার পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। স্বজনরা তাকে মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওইদিন দুপুরেই গোপালপুর থানায় ৫ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের হওয়ার ৩ দিন পার হলেও কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারেননি পুলিশ।
এদিকে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ঘটনায় সংবাদ প্রচারের পর বৃহস্পতিবার সকালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নির্যাতিতা কলেজছাত্রীকে দেখতে যান এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে নির্যাতিতার খোঁজখবর নেন।
এসময় তার উপস্থিতিতে গণমাধ্যম কর্মীরা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে ওই কলেজছাত্রীর ধর্ষণ আলামতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সঠিক উত্তর দেননি।
নির্যাতিতার সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্চিত কুমার রায় জানিয়েছেন, গণধর্ষণের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি।