এক নারীর আকুতি ধর্ষণ মামলায় সহযোগিতা করায় আমার স্বামীকে বিভিন্নভাবে হয়রানী

এক নারীর আকুতি ধর্ষণ মামলায় সহযোগিতা করায় আমার স্বামীকে বিভিন্নভাবে হয়রানী

মোঃ জাবেদ আলী নিয়ামতপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ ধর্ষণ মামলায় সহযোগতা করায় আমার স্বামীকে ধর্ষণকারী মাদক, টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করছে। মিথ্যা মামলায় এখন আমার স্বামী জেল হাজতে রয়েছে। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। 

নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বড়বেলালদহ গ্রামে খাইরুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস বেগম নিয়াতপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন।
নার্গিস বেগম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০০৬ সালে মান্দা উপজেলার বড় বেলালদহে গ্রামের সিরাজ মোল্ল্যার মেয়ে জরিনা বেগমকে একই গ্রামের ইসমাইল মন্ডলের ছেলে আবু বক্কর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের অভিনয় করে একাধিকবার শারীরিক মেলামেশা করে। এক পর্যায়ে জরিনা বেগম গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গ্রামে বিষয়টি জানাজানি হলে জরিনার বাবা মেয়েকে আবু বক্করের সাথে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আবু বক্কর তা অস্বীকার করে। সে সময় জরিনা বেগম একটি পিতৃহীন পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। জরিনা বেগমকে সমাজে কলঙ্কমুক্ত করতে এবং পুত্র সন্তানকে পিতৃ পরিচয় দিতে আবু বক্করের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালেই বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৪২৩/২০০৬। পিতৃহীন পুত্রের বর্তমান বয়স ১৪ বছরে পার হলেও আজও মামলা কোন সুরাহা হয়নি। আমার স্বামী খায়রুল ইসলাম জরিনা বেগমের চাচাতো ভাই। জরিনা বেগমের মামলার তদবির করতে আপন তেমন কোন ব্যক্তি না থাকায় আমার স্বামী মামলাটি দেখভাল করছেন। সেই কারণে আবু বক্কর ও তার ভাই ইব্রাহীম আমার স্বামীকে টাকা আত্মসাৎ ও মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে চলেছে। সম্প্রতি আমার স্বামীর পকেটে ইয়াবার ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়ে  পুলিশকে খবর দিয়ে আটক করায়। আবু বক্কর ও তার ভাই ইব্রাহীম ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য  আমাকে ও আমার স্বামীকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
আমি অত্যান্ত গরীব ও অসহায় এক নারী। আমার স্বামী মিথ্যা মামলায় হাজতে রয়েছে। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমার আকুল আবেদন বিষয়গুলি সরেজমিনে তদন্ত করে আমাকে ও আমার স্বামীকে এই দুষ্ট ব্যক্তিদের হাত থেকে রক্ষা করবেন। পাশাপাশি ১৪ বছর ধরে ঝুলে থাকা ধর্ষণ মামলারও একটি সুষ্ঠু সমাধান করবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন