সীমান্তে হত্যা থামবে কবে: এবি পার্টির জিজ্ঞাসা

সীমান্তে হত্যা থামবে কবে: এবি পার্টির জিজ্ঞাসা

মো: সাইফুল ইসলাম ( জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার)

সীমান্ত হত্যা থামবে কবে, প্রশ্ন উত্থাপন করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে “গত (২১ নভেম্বর)  একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিটি হুবহু নিম্নে উপস্থাপন করা হল-

“গত (২১ নভেম্বর) শনিবার ভোর রাতে কুড়িগ্রামের রৌমারীর খাটিয়ামারী সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে হাসিবুর রহমান (২৮) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। প্রথম আলোর প্রতিবেদন মোতাবেক ভারত থেকে গরু নিয়ে আসার সময় আসাম রাজ্যের মানকারচর থানার কসুনিমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। এদিকে ইনকিলাবের প্রতিবেদন বলছে, মাদক নিয়ে আসার সময় বিএসএফ গুলি ছুড়ে। একটি সূত্রের বরাতে ইনকিলাব বলছে, নিহত হাসিনুরের নামে এলাকায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে৷

কিন্তু, মাদক কিবা গবাদিপশুর চোরাকারবারি কোন অর্থনৈতিক বাস্তবতায় অনিবার্য হয়ে উঠছে, আবার চোরাকারবারি হলেই বিএসএফের তাকে হত্যার অধিকার যে নেই সে কথাগুলোও বলার সময় এসেছে। যখন চোরাকারবারি বলে বাংলাদেশী হত্যা করাকে স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত গত আট বছরে বিএসএফের গুলিতে ২৩৩ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। ২০১৯ সালে বিএসএফ গুলি করে ৪৩ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, বিএসএফের হাতে খুন হয়েছেন ৩৩ বাংলাদেশী।

ভারতের আইন অনুযায়ী, কোন বিদেশি যথাযথ কাগজগত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলে তা দেশটির বৈদেশিক আইন ১৯৪৬ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল ও কারাদণ্ড হতে পারে। তাহলে, কোন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করলেও ভারতীয় আইনেই তার বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু বিএসএফ দশকের পর দশক জুড়ে বাংলাদেশ সীনান্তে ‘দেখামাত্রই গুলি’ করার বিচারবহির্ভূত নীতি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

মূলত, বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, এখানকার রাজনৈতিক দলগুলোর ভারতের তাবেদারি, আন্তর্জাতিক আইন ও আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতি সর্বোপরি ভারত রাষ্ট্রের আগ্রাসী ভূমিকা সীমান্তে নির্বিচার বাংলাদেশী হত্যাকে স্বাভাবিক ও সহনীয় করে তুলেছে। পৃথিবীর অন্য কোন সীমান্তে এত মানুষ খুন হয় না, অথচ বাংলাদেশ সরকার বারবার ভারতের সাথে অকৃত্রিম বন্ধুত্বের কথা বলে যাচ্ছে।

আমার বাংলাদেশ পার্টি দাবি জানাচ্ছে, অচিরেই সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা বন্ধ করতে হবে। চোরাকারবারিদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে গ্রেফতার, বিচার ও প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে। সাথে সাথে এ দাবি পূরণে আমার বাংলাদেশ পার্টি বাংলাদেশ সরকার, সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজকে উচ্চকন্ঠ হবার আহবান জানাচ্ছে৷” – বিজ্ঞপ্তি।

আপনি আরও পড়তে পারেন