চৌগাছায় সাড়ে ৬’শ বছরের তেতুল গাছ

চৌগাছায় সাড়ে ৬’শ বছরের তেতুল গাছ

বাবুল, চেীগাছা (যশোর)
যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির সামনে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন তেতুল গাছ। বিশাল আকারের চারটি তেঁতুল গাছ দেশের সব থেকে বয়স্ক তেঁতুল গাছ বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এলাকার বয়স্ক মানুষদের ধারণা গাছগুলির বয়স সাড়ে ৬’শ বছরের উপরে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, গাছ চারটির জন্মকাল ও বয়স নিয়ে এলাকায় রয়েছে নানা রকম জনশ্রুতি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান খানসহ কয়েকজন বয়স্কদের সাথে কথা হলে জানান এ গ্রামের পুটি মোহাম্মদ বিশ্বাস ১’শ ১৪ বছর বেঁচে ছিলেন। তিনি প্রায় ১’শ বছর আগে মারা যান। তিনি বলতেন তাঁর জ্ঞান বুদ্ধি হবার পর থেকে তেঁতুল গাছগুলি একই রকম সবুজ দেখেছেন।

গ্রামবাসিরা জানান, এ গ্রামের কৃতি সন্তান ত্রান ও পুর্নবাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব, রাষ্টদূত এম মনিরুজ্জামানের সাথে প্রায় ৩০/৩৫ বছর আগে ইটালিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ বেড়াতে এসেছিলেন। কৌতুহলবশত তিনি এই তেঁতুল গাছের বয়স জানতে চাইলে সে সময় কেউ সঠিক বয়স বলতে পারেনি।

কয়েক বছর পর ঐ বিশেষজ্ঞ আবারও জগদীশপুর গ্রামে আসেন এবং গাছের বাকল পরীক্ষা করে জানান তেতুল গাছের বয়স ৬’শ ৩০ বছর। সে হিসেবে গাছের বর্তমান বয়স ৬’শ ৬৬ বছর। এত বড় এবং বয়স্ক গাছ হলেও গাছের কোন ডাল বা শাখা প্রশাখা শুকিয়ে যায়নি। আজও রয়েছে সবুজ শ্যামল। প্রতি বছর প্রচুর পরিমানে ফল ধরে গাছগুলোতে।

জানা গেছে প্রায় সাড়ে ৭’শ থেকে ৮’শ বছর আগে প্রমত্তা ভৈরব নদী কালের বিবর্তনে চর পড়ে স্রোতধারা বন্ধ হয়ে যায়। চরে সৃষ্টি হয় গ্রামের পর গ্রাম। তারই একটি গ্রাম জগদীশপুর। যেখানে সাড়ে ৩’শ বছর পূর্বে জগদীশ ঘোষ নামে এক বৃদ্ধ প্রথম জন বসতি গড়ে তোলে। আর জগদীশ ঘোষের নামানুসারে চরের নাম হয় জগদীশপুর। গ্রামের মিয়া বাড়ির সামনে পাশাপাশি এ চারটি গাছের জন্ম।
এলাকাবাসি দাবিতরে এ প্রতিবেদকের কাছে বলেন, এ ধরনের গাছগুলো সরকারীভাবে সংরক্ষন করা দরকার। তানাহলে এসব ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো এক সময় হারায়ে যাবে ।

আপনি আরও পড়তে পারেন