নওগাঁর মান্দায় হাটে নতুন ধান আমনের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। জেলার মান্দা উপজেলার সতিহাট ধানের সরবরাহ বাড়লেও হাটে ক্রেতা ছিলো কম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব রকম ধানের দাম মণ প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমে গেছে।
গত ১৫-২০ দিন আগেও ধানের দাম ছিলো বেশি। কিন্তু হঠাৎ ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। এতে কৃষকের চোখ-মুখে হতাশা ছাপ ফুটে উঠেছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে জেলায় প্রায় ১ লক্ষ ৯১ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদন করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের শষ্য ভাণ্ডারখ্যাত জেলা নওগাঁ। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির উপর নির্ভর করে এই আমন ধান চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। ধানে পোকামাকড়ের আক্রমণ থাকলেও তেমন ক্ষতি হয়নি। ধান কাটামাড়াই প্রায় শেষের দিকে।
এদিকে ডিসেম্বর ক্লোজিং এবং হালখাতা। বকেয়া পরিশোধ করতে বাজারে ধানের আমদানি বেড়েছে। ধানের আমদানি বেশি হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ কমেছে। এ কারণে বর্তমানে বাজারগুলোতে ধানের দাম কমে গেছে। হঠাৎ করে ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষদের চোখ-মুখে হতাশা ছাপ ফুটে উঠেছে।
স্থানীয় কৃষক মমতাজ আলী, আব্দুল জব্বারসহ অনেকই বলেন, গত ১৫ দিন আগে স্বর্ণা-৫ ধানের দাম ছিলো ১ হাজার ১৫০ টাকা মণ, আর গুটি স্বর্ণা ধানের দাম ছিলো ১ হাজার ৫০ টাকা মণ। মান্দার সতীহাটসহ অন্যান্য হাটে সেই স্বর্ণা-৫’র ধানের দাম কমে হয়েছে ১ হাজার থেকে হাজার ৫০ টাকা এবং গুটি স্বর্ণা ধানের দাম কমে হয়েছে ১ হাজার টাকা মণ। এমনি করে সব জাতের ধানের দাম মণপ্রতি কমেছে ১০০-১৫০ টাকা।
সতিহাটের ধানের আড়তদার বাবুল চৌধুরী, আব্দুর রশিদ মণ্ডল এবং মুঞ্জু বলেন, ডিসেম্বর ক্লোজিং এবং হালখাতার কারণে বাজারে ধানের আমদানি বেশি হয়েছে। এছাড়া চালকল মালিকরা ধান কেনা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। বাজারে ধানের আমদানি বেশি হলেও ক্রেতা কম থাকায় দাম কমে গেছে।