শ্রীমঙ্গলে চা-শ্রমিকদের ‘৭ দফা দাবী জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়নে মানববন্ধন

শ্রীমঙ্গলে চা-শ্রমিকদের ‘৭ দফা দাবী জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়নে মানববন্ধন

মামুনুর রশীদ, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি || মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর সম্মানিত মহাপরিচালক, শ্রম অধিদপ্তর, শ্রম ভবন, ঢাকা-বরাবরে পেশকৃত মাননীয় ২য় শ্রম আদালতের আদেশ বাস্তবায়নসহ চা-শ্রমিকদের ৭ দফা দাবী জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চা শ্রমিকরা।


রবিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর কার্যালয়ের সামনে “বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন (একাংশ) এর আইনানুগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ এর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে উক্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত পরিষদের সহ সভাপতি মরলী ধর গোয়ালা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পরিমল সিং বাড়াইক, মহিলা সম্পাদিকা শ্যামলী বুনার্জি, সদস্য রঞ্জন চাষাসহ চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা।
এ মানববন্ধনে চা শ্রমিকদের ‘৭ দফা’ দাবী উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘আদেশ জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা। ঐ আদেশ মোতাবেক ২০০৬ সালের ৩০ এপ্রিল ইউনিয়নের অনুমোদিত গঠনতন্ত্র ২০০১ মোতাবেক নির্বাচিত কমিটির নিকট ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয় শ্রীমঙ্গলের লেবার হাউস জরুরী ভিত্তিতে সমজাইয়া দেওয়ার প্রয়োাজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।

ইউনিয়নের আগামী ৩০ তম ত্রি-বার্ষিকী সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শ্রম আদালতের আদেশ মোতাবেক বিদ্যমান কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা প্রদান করা। সেই সাথে ইউনিয়নের আভ্যন্তরিন নির্বাচনে কোন রকম সরকারি অর্থায়ন না করা। বর্তমান বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে চা শ্রমিকদের বর্তমান আর্থিক দুর্দিনের সময়ে তাদের মুখে হাসি ফোঁটানোর প্রয়োজনে মজুরী বৃদ্ধিসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি বর্ধিত করার লক্ষ্যে ৩ তারিখে চট্টগ্রামস্থ মাননীয় ২য় শ্রম আদালত কর্তৃক দেয় আদেশের ধারাবাহিকতায় বিদ্যমান কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে একটি “মজুরী বোর্ড” গঠন করা।


২০০৮-২০১৮ সময়কালের নির্বাচনের চা কোম্পানীর ম্যানেজমেন্ট, ব্যবস্থাপকগণ যাতে ভবিষ্যতে কোন চা বাগানের ওয়ার্কিং, ডিসমিসড ষ্টাফ যেমন- অতীতে রাম ভজন কৈরী- শিলুয়া, আলীনগর চা বাগান ও মাখন লাল কর্মকার ডিনষ্টোন চা বাগান এর মত শ্রমিক হাজিরা বহিতে নাম উঠিয়ে ও রাতারাতি প্রভিডেন্ট ফান্ডের সদস্য বানিয়ে ইউনিয়নের কোন নির্বাচনে যাতে কেউ অংশগ্রহণ করতে না পারেন-তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা। আজ থেকে ৭১ বছর পূর্বে চা শ্রমিকদের অনেক কষ্ট ও ত্যাগের বিনিময়ে দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের অধীনে গড়ে উঠা ইউনিয়নের বারগেইনিং এজেন্ট হওয়ার নেতৃত্বকে চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়ার পায়তারা শুরু হয় ২০০৫ সাল থেকে যা আজও অব্যাহত আছে। চা শ্রমিক ও চা শিল্পের স্বার্থে ইউনিয়নের হারিয়ে যাওয়া সেই নেতৃত্বের পুনঃ প্রতিষ্ঠা একান্তই জরুরী বিধায় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের উপর ২০০৬ সাল হতে আজ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সকল বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।
চা শিল্প ও চা শ্রমিকদের বৃহত্তর স্বার্থে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উক্ত ৭ দফা দাবি উক্ত দপ্তর বাস্তবায়নের পয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করি ও বিশ্বাস রাখি। এই বিষয়ে আমরা চা শ্রমিক বান্ধব বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ একান্তভাবে কামনা করছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন