উপজেলা পর্যায়ে প্রথম ৭ তলা হাসপাতাল হচ্ছে সিলেটের বালাগঞ্জে

উপজেলা পর্যায়ে প্রথম ৭ তলা হাসপাতাল হচ্ছে সিলেটের বালাগঞ্জে

শাহাজাদা বেলাল স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটের বালাগঞ্জে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম ৭ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মিত হচ্ছে। ৫২ বছর আগে নির্মিত বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের নানাবিধ সমস্যা ও জনবল সংকটের কারণে সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্য সেবাদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে হাসপাতালের প্রায় কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।


নতুন ভবন নির্মাণ করে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের দাবি ছিল উপজেলাবাসীর। অবশেষে সেই দাবি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। স্বাস্থ্য সেবার গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। হচ্ছে ৭ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন।


স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণাধীন এই ভবনটি- উপজেলা পর্যায়ে প্রথম ৭ তলা বিশিষ্ট ভবন হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে জনবল বৃদ্ধি ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি চালু করা হবে। হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগ চালু করা হলে স্বাস্থ্য সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। সহজেই উন্নতমানের স্বাস্থ্য সেবা পাবেন প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৪ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯ টাকা ৬৪ পয়সা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণ কাজ করছে ‘মাইশা কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ কাজের সময় সীমা ১৮ মাস। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) কাজটি বাস্তবায়ন করছে।


২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল থেকে ভবনের পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।


স্থানীয়রা বলেন, হাসপাতাল ভবনের সমস্যা, জনবল সংকট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে আমরা এতো দিন কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। সামান্য অসুখ-বিসুখে আমাদেরকে সিলেট শহরে দৌড়াতে হচ্ছে। এখন সাত তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণের মাধ্যমে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে- এটি অবশ্যই আনন্দের বিষয়। নতুন ভবনের কাজ শেষ হওয়ার পর এই অঞ্চলের মানুষ তাদের চাহিদা মত স্বাস্থ্য সেবা পাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।


বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এসএম শাহরিয়ার বলেন, হাসপাতালের পুরাতন ভবনে অনেক কষ্ট করে আমাদেরকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে হচ্ছে। জনবল সংকট তো আর আছেই। এমপি সার্বক্ষণিক নির্মাণাধীন ভবনের কাজ তদারকি করছেন। ৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলে এই এলাকার মানুষ উন্নতমানের স্বাস্থ্য সেবা পাবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন