মুক্তিযুদ্ধারা কখনও মারাযায় না, তারা বেঁচে থাকে আমাদের হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে -পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান

মুক্তিযুদ্ধারা কখনও মারাযায় না, তারা বেঁচে থাকে আমাদের হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে -পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান


চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেছেন, 

মুক্তিযুদ্ধারা কখনও মারাযায় না, তারা বেঁচে থাকে আমাদের হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে, তিনি বৃহস্পতিবার ১৭ ডিসেম্বর’ চাঁদপুর জেলা পুলিশ  আয়োজিত ‘‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা’২০’’প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যরাখতে গিয়ে এধরণের মন্তব্য করেন   চাঁদপুরের জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)’এর সভাপতিত্বে উক্তআলোচনা সভার সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার।

উক্ত আলোচনা সভায়অংশ নিয়ে  পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) তাঁর বক্তব্যে   আরও বলেন মুক্তিযোদ্ধারা কখনো মারা যায়না, তারা মারা যাবেনা এবং ৭১’র বীর যোদ্ধারা কখনো নড়বড়ে হাটে না। আমরা হয়তো যথাযোগ্য প্রতিদান দিতে পারি না, আমাদের অনেক সিমাবদ্ধতা রয়েছে।

তার প্রধান সিমাবদ্ধতা হচ্ছে আমাদের নৈতিক সিমাবদ্ধতা। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সে সিদ্ধান্তটা হচ্ছে, চাঁদপুর জেলার পক্ষ থেকে পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেজেটভুক্ত করণে প্রক্রিয়া সহজীকরণ সেল তৈরি করবো। আর এটা গঠন করতে পারলে আমি মনে করবো মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সঠিক সম্মান দিতে পেরেছি।তিনি বলেন, তবে আমি সেই অফিসারকে এই সেলের প্রধান করবো, যার পরিবারের সদস্যে একজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। তানাহলে ভিতরের সেই অনুভূতি কখনো কাজ করবে না।

তার ভিতর থেকে যে অনুভূতি নিয়ে এই মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেজেটভুক্ত করণ যে অভিপ্রায় ব্যাক্ত করার দরকার সেটা কিন্তু হবেনা, নেভার এন্ড এভার। আগে দেখতে হবে আমার ওই পুলিশ অফিসারের পরিবারের কোন সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল কিনা বা রয়েছিল কিনা। কারণ ব্যাথা সেই বুঝতে পারে যে সাপের কামড় খেয়েছে। যাকে কভু আসি বিষে দংশেনি সে কখনো সাপের কামড়ের ব্যথা বুঝবে না।

যে অফিসারের পরিবারের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের বেদনা লুকিয়ে আছে সেই অফিসারকে নির্ধারণ করতে হবে এই কমিটিতে।তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি মানসিক পরিবর্তন বা চেতনাটাকে যদি আমরা পরিবর্তন করতে পারি তাহলেই আমাদের এই অনুষ্ঠান সফল হবে, অন্যথায় সফলতা আসবে না। আমি চেষ্টা করবো এই কাজটি করার জন্য।

আমি যেন অন্তত্য পক্ষে একটা কমিটি করতে পারি। যারা এই কাগজটা পাওয়ার পরে শুধু আমি পাঠিয়ে দিলাম এ পর্যন্ত কাজ শেষ নট লাইক দ্যাট। সেটা পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রাণালয় যেয়ে তাদের যে কোয়েরিজ যে সমস্যা সেটা আমি আবার ইফেকটিভ করবো। দি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকেও আমি গেজেটভুক্ত করতে পারি মহান রাব্বুল আলামিন এর কাছে বলবো আমি ১৭ ডিসেম্বর’২০ইং যে অঙ্গিকার করেছিলাম তার একটার অঙ্গীকার আমি রাখতে পেরেছি।আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ আলম বকাউল (বীর মুক্তিযোদ্ধা)সভায় মুক্তিযুদ্ধের বীরুত্বের কথা আলোচনা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব:) এসআই ইউসুফ আলী (সশস্ত্র), এসআই মোঃ আমির হোসেন (সশস্ত্র), এএস আই’ আব্দুল মান্নান (সশস্ত্র) ও পুলিশ সদস্য তোফাজ্জল।

এছাড়াও সভায় প্রয়াত ও অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের পক্ষে অনুভূতি প্রকাশ করেন, মৃত এএসআই মোহনবাশি দত্তের ছেলে অজিত দত্ত, এসআই রুহুল আমিন কন্যা রেবেকা সুলতানা, মৃত পুলিশ সদস্য সফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য সেকান্দার আলীর ছেলে ফরহাদ আহমেদ।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আঃ রহিমসহ জেলা পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যগণ।অনুষ্ঠানে ৫৯ জন পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদানের আয়োজন করা হয়। সময় স্বল্পতার কারণে ‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের সন্মাননা’২০’ এর সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সুপার শাহ আলম তালুকদারসহ ২ জন মৃত পুলিশ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ও ২ জন জীবিত পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের হাতে এ সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেয়া হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন