সোহেল আলম লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম কেনার জের ধরে যুবলীগ নেতা রাসেদুল হাসানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় হামলাকারীদের শনাক্ত করে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা ১৫ জনকে আসামি করা হয় বলেন নিশ্চিত করেন রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন যুবলীগ নেতা ফিরোজ আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মামুন হোসেন, তানভীর, ছাত্রলীগ নেতা জুনাইদ হোসেন, নাছির, খলিল, সবুজ ও ফারুক। তারা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. শাহাজাহানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আগামি ৩০ জানুয়ারি রামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। এতে রামগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে যুবলীগ নেতা রাসেদুল হাসান উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
রাসেদ পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও মেসার্স রাসেদ ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী। মনোয়নয় ফরম সংগ্রহ শেষে দুপুরে রাশেদ সমর্থকদের নিয়ে রতনপুর এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসে।
এর কিছুক্ষণ পরই বর্তমান কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজাহানের অনুসারীরা রাসেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এতে রাসেদের ৪ জন সমর্থক আহত হন। এরমধ্যে গুরুতর আহত সফিকুর রহমান ও জাকির হোসেন মোল্লাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী রাসেদুল হাসান বলেন, মনোয়ন ফরম কেনায় কাউন্সিলর শাহাজাহানের লোকজন আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে। এ ঘটনায় আমি মামলা করেছি। জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
https://www.facebook.com/agamirsomoy/videos/3649297825109448