তীব্র শীতে রূপগঞ্জে বেড়েছে রোগের প্রকোপ

তীব্র শীতে রূপগঞ্জে বেড়েছে রোগের প্রকোপ

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ ঃ

শীতের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় চরম ভাবে বিঘিœত হচ্ছে সড়ক ও নৌ যোগাযোগ। হেডলাইটজ্বালিয়েওচলাচলকরতেহচ্ছেযানবাহনগুলোকে। এদিকে শীতপ্রকোপেনগরীতে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি। বেশি কষ্টে আছে ছিন্ন মূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।

জেঁকে বসেছে শীত। বেড়েছে জন দুর্ভোগ। বেড়েছে রোগের প্রকোপও। ঠান্ডা, কাশি, জ্বর সহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেবয়স্ক ও শিশুরা। গত ৫ দিনে শুধু মাত্র ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২শতাধিক জন রোগী।এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু।রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাযায়, গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়াজনিত রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে।

এক সপ্তাহে রোগী ভর্তি হয়েছে ২শতাধিক জন। এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এদের অধিকাংশই ৫ বছরের নিচে। এছাড়া প্রতিদিনই প্রায় ২ থেকে ৩ শতাধিক ঠান্ডা, কাশি, জ্বর সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে।ডা. কাউছার আহমেদ মেহেদী হাসান বলেন, শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। এদেরকে সব সময় গরম কাপড় পড়িয়ে রাখতে হবে। বাহিরে বেরহতে দেয়া যাবেনা। ঠান্ডা ও বাশি খাবার খাওয়ানো যাবেনা।

বুধবার ও বৃহস্পতি বার হাসপাতালে সর জমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রোগীদের ভীড়। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেশির ভাগ রোগীই আসছে ঠান্ডা, জ্বর ডায়েরিয়া জনিত রোগ নিয়ে। ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদেরভীড়। আক্রান্তদেরমধ্যে অধিকাংশইশিশু। ডায়েরিয়াওয়ার্ডে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স জানান, গত ৭দিন যাবৎ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অন্য সময়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে যেখানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন ভর্তি হতো, এখন সেখানে ৫০ থেকে ৬০ জনকরেভর্তি হচ্ছে।

আর আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। যাদের বয়স বেশির ভাগই পাঁচ বছরের নিচে। এছাড়া গত ২দিন যাবৎনারী ও বয়স্কদের ভীড়ও চোখে পড়ার মত।রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সেরআবাসিক মেডিকেলঅফিসার (আরএমও) ডা. উয়সালআহমেদ বলেন, ডায়রিয়ার রোগীগত একমাসযাবৎই বেশি। তবেসম্প্রতিঠান্ডারকারণেএরসংখ্যা বেড়েছে। তীব্র শীতেভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিতএসব রোগছড়িয়েপড়ছে।সবচেয়ে বেশিআক্রান্তহচ্ছেশিশুরা। শিশুদের সব সময়গরমপরিবেশেরাখতেহবে। ডায়রিয়াপ্রতিরোধেরজন্য সব সময়গরমখাবার খেতে হবে।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরজাহান আরা খাতুন বলেন, প্রতিদিন হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগজ্বর,ডায়েরিয়া সহ বিভিন্ন রোগে রোগী ভর্তি হচ্ছে। আরএরসংখ্যা অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি। তবে এ সকলঠান্ডাজনিত রোগ থেকে ৬ মাসবয়সীশিশুদেরবাঁচাতেমায়ের দুধ পান করানো আবশ্যক। আর ৬ মাসের বেশি বয়সের শিশুদের মায়ের দুধখাওয়ানোর পাশাপাশি অন্য খাবার গরমকরে খাওয়ানোর জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।এছাড়া ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবংহাসপাতাল গুলোতে র্পর্যপ্তঔষধ ও সেবাপ্রদানেরপর্যাপ্তব্যবস্থা রাখাহয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন