ভূঞাপুরে বিএনপির একজন প্রার্থী থাকায় ভালো অবস্থানে ধানের শীষ প্রতীকের জাহাঙ্গীর

ভূঞাপুরে বিএনপির একজন প্রার্থী থাকায় ভালো অবস্থানে ধানের শীষ প্রতীকের জাহাঙ্গীর

মোঃ আব্দুর রহমি মিঞা ( টাঙ্গাইল) ভূঞাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ঃ তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি ভূঞাাপুর পৌরসভার নির্বাচন। প্রতীক পেয়ে ইতোমধ্যে বিরামহীন প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। এবারের নির্বাচনে মেয়র প্রদে তিনজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।


এদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বতর্মান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নৌকা প্রতীকে মাসুদুল হক মাসুদ, বিএনপি মনোনীত পৌর বিএনপির সভাপতি ধানের শীষ প্রতীকে জাহাঙ্গীর হোসেন এবং স্বতন্ত্র ( আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ) প্রার্থী পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি জগ প্রতীকে আব্দুস সাত্তার।
এ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি হাড্ডা-হাডিড প্রতিযোগিতায় পালাক্রমে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ভূঞাপুর পৌরসভার নির্বাচন শুরু হলে ভোট গননার শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা না করে ফলাফল বলা কঠিন হয়ে যায় কে হবে এ পৌর পিতা। কিন্তু এবার আওয়ামীলীগের শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ধানের শীষ প্রতীকের জাহাঙ্গীর হেসেন অনেক খানি এগিয়ে রয়েছে নির্বাচনী দৌড়ে।

এ পৌর সভায় নির্বাচনি তপসিল ঘোষিত হলে মাসুদুল হক মাসুদ, আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ, আব্দুস সাত্তার দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির প্রত্যাশা করেন। এদের মধ্যে মাসুদুল হক মাসুদদলীয় নৌকা প্রতীক পেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন, আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রত্যহার করেন নেন, আর আব্দুস সাত্তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহর না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম জোরে-শোরে চালিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে।

এদিকে এ পৌরসভার টানা দুইবার নির্বাচিত মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ বিরামহীন ভাবে চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনি এলাকার আনাচে-কানাচে। ঘুরছেন ভোটারের ধারে ধারে। তাকে সহোযোগিতা করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। দলীয় টিকিট পাওয়ায় তার পক্ষে মাঠে কাজ করছে নেতা কর্মীরা। মাসুদুল হক মাসুদ তার আমলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে সে সব তথ্য তুলে ধরে ভোটের মাঠে ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।
তবে পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সাত্তার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় অনেকটা বেকায়দায় রয়েছেন নৌকা প্রতীক পাওয়া মাসুদুল হক মাসুদ। দুইজন দলীয় প্রার্থী মনে করে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে তৃর্ণমুলে নেতা-কর্মীরা এ পৌর নির্বাচনে। আবার দেখা যাচ্ছে, আওয়ামীলীগের বিশাল একটি অংশ নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

ভূঞাপুর পৌর নির্বাচনের আওয়ামীলীগ ও বিএনপির জয় পরাজয় থাকে সমান তালে। এবার আওয়ামীলীগের শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থী এবং বিএনপির একজন প্রার্থী থাকায় ভালো অবস্থানে ধানের শীষ প্রতীকের জাহাঙ্গীর হােসেন। মাঘের হার কাপা শীতকে অপেক্ষা করে তার পক্ষে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে নেতা কর্মীরা । মনোনয়ন পত্র জমা থেকে শুরু করে নির্বাচনি প্ররচারণা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দি টুকু , দিচ্ছেন নানান দিক নির্দেশনা। সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর তত্ত্বাবধানে আট শাট বেঁধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় নেতা কর্মীরা কাজ করছে ধানের শীষের বিজয়ের লক্ষে। বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন, বলেন পৌর নির্বাচন সুষ্ঠ হলে ভোটাররা ধানের শীষের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে। তিনি আরো বলেন আমি মেয়র নির্বাচিত হলে ভূঞাপুর পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভা হিসাবে গড়ে তুলব।
ধানের শীষের প্রার্থী জাহাঙ্গীরের মতো সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সাত্তার বলেন পৌর নির্বাচন কি যে হয়? সাধারণ ভোটাররা আমার জগ প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে ভূঞাপুর পৌরসভাকে একটি আধুনিক ও দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা গড়ে তুলব।

এ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি, প্রতিন্দন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে মেয়র ৩ জন নয়টি ওয়ার্ডে ৩০ জন কাউন্সিলর ও ৩ টি সংরক্ষিত আসনে ১১ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ।

আপনি আরও পড়তে পারেন