চট্টগ্রামে ব্ল্যাক মেইল করে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) রাতে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, জাহাঙ্গীর এক কিশোরর ছবি এডিট করে নগ্ন ছবি বানায়। পরে ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আরও দুই বার ধর্ষণের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর। সবশেষ কিশোরী মরিচের গুড়া মেরে আত্মরক্ষা করে।
গ্রেফতার মো. জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মহনপুর গ্রামের মো. ওয়াহিদের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ভিকটিমের বয় ১৪ বছর। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা ফলের ব্যবসায়ী এবং মা গার্মেন্টস কর্মী। জাহাঙ্গীর প্রায়ই ভিকটিমকে বিরক্ত করত, কথা বলতে চাইত। কিন্তু ভিকটিম তাকে গুরুত্ব দিত না। একদিন কেউ না থাকার সুযোগে জাহাঙ্গীর কিশোরীর বাসায় চলে আসে। এ সময় ভিকটিম চিৎকারের চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর তাকে কিছু নগ্ন ছবি দেখায়। মূলত ভিকটিমের ছবি এডিট করে জাহাঙ্গীরই এই নগ্ন ছবি বানায়। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে।
ওসি জানান, এ ঘটনার পর ভিকটিম তার মোবাইল বন্ধ করে দেয়। লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনা কাউকেই বলেনি। কিছুদিন পর আবারও জাহাঙ্গীর আসে। কিন্তু তাকে দরজায় আসতে দেখেই ভিকটিম মরিচের গুড়া নিয়ে তার মুখে মেরে দেয় এবং সেদিনের মতো নিজেকে রক্ষা করে। এরপর জাহাঙ্গীর আরও একবার আসে। ভিকটিম একই কায়দায় মরিচের গুড়া মেরে আত্মরক্ষা করে। মরিচের গুড়ার ভয়ে কাছে ঘেঁষতে না পেরে জাহাঙ্গীর অন্যভাবে কিশোরীকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। শেষে সোমবার ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ জানালে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়।
ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেছেন।
