ভৈরবে নিখোজেঁর ২ দিন পর দোকানদারের মরদেহ উদ্ধার

ভৈরবে নিখোজেঁর ২ দিন পর দোকানদারের মরদেহ উদ্ধার
এম আর ওয়াসিম, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)  প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিখোজেঁর ২ দিন পর  স্বপন মিয়া (৩৮) নামে এক চা দোকানদারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ২৮ জুলাই বুধবার দুপুরে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রাজা কাটা গ্রামের একটি বিল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বপন মিয়া শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া ডাক্তার বাড়ির মৃত দেওয়ান আলী মিয়ার পুত্র বলে জানা যায়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পাওনা টাকা উদ্ধারের জেরে প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে।
ঘটনা সূত্রে জানাযায়,  আজ ২৮ জুলাই বুধবার সকালে রাজাকাটা গ্রামের বিলের মধ্যে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসিরা স্বজনদের খবর দিলে তারা গিয়ে মরদেহ সনাক্ত করে। পরে ভৈরব থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে  থানায় নিয়ে আসে এবং ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। উক্ত ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে থানায় আনা হয়েছে বলে জানা যায়।
নিহতের স্বজনরা জানায়,  স্বপন তার বন্ধু প্রতিবেশী রশিদ মিয়ার নিকট ৫০ হাজার টাকা পাওনা। উক্ত টাকা উদ্ধারের জন্য স্বপন প্রায়ই রশিদ মিয়াকে তাগাদা দিতো। কিন্তু রশিদ মিয়া নানা অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে চলতো। গত সোমবার রাত ১১ টার সময় নিহত স্বপন মিয়াকে  মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সারারাত আর বাড়ি ফিরেনি স্বপন। পরদিন মঙ্গলবার সকাল থেকে  বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি  করেও তাকে না পাওয়ায় ঐ দিনই নিহতের স্বজনরা ভৈরব থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। পরে বুধবার সকাল রাজাকাটা গ্রামের একটি বিলে একটি লাশ ভাসতে দেখলে এলাকাবাসির মাধ্যমে  স্বজনরা খবর পেয়ে স্বপনের মরদেহ সনাক্ত করে।
এবিষয়ে ভৈরব থানার  পরিদর্শক ( তদন্ত ওসি )  মাহফুজ হাসান সিদ্দীক জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে থানায় আনা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন