লালমনিরহাটে দুই গ্রুপের পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচী, সংবাদ সম্মেলন

লালমনিরহাটে দুই গ্রুপের পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচী, সংবাদ সম্মেলন
সাধন রায় লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটে সদর উপজেলা আ’লীগের কমিটি গঠন ও এক আওয়ামীলীগ নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মানবন্ধন ও
 সংবাদ সম্মেলনসহ পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচী পালন করছে লালমনিরহাটে আ’লীগের দুই গ্রুপ।
জানাযায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে হঠাৎ করে মতবিনিময় সভা ডাকেন কেন্দ্রীয় আ’লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমি। পরে গত ১৭ আগষ্ট জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সেই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা স্বপন। আলোচনার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে পুলিশি পাহাড়ায় দলীয় কার্যালয় থেকে চলে যান কেন্দ্রীয় নেত্রী সফুরা বেগম রুমি।
এরপর দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে একটি সভা করেন গোলাম মোস্তফা স্বপন। এদিকে সভার পুরো অংশটি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সরাসরি সমম্প্রচারিত ভিডিওটি মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হলে জেলা জুড়ে আ’লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে সদর উজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে আগামী ২১ আগষ্ট এর কর্মসূচি ঘোষনা করে তিনি বলেন,‘ জেলা আওয়ামীলীগের পাশাপাশি সদর উজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারেও পৃথক কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে এসব ঘটনায় লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচী পালন করছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে আওয়ামীলীগ জেলা কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। একইদিন বিকালে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করে জেলা ছাত্রলীগের একাংশ।
অপরদিকে শুক্রবার (২০আগষ্ট) দুপুরে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মোস্তফা স্বপনের অনুসারি উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম মজনু। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, সফুরা বেগম রূমী কেন্দ্রীয় নেতা হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক হতে পারেন না। তিনি স্বঘোষিত আহ্বায়ক সেজে কৌশলে সকল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেছেন। আমরা স্বাক্ষর না করায় তিনি রাগান্বিত হয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেছেন। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের তদন্ত দাবী করেন তারা।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার আ’লীগের ৯টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় নেত্রী সফুরা বেগম রুমি বলেন, লালমনিরহাটে জেলা আ’লীগকে সুসংঘটিত করতেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এজন্য যারা তার সাথে এরকম আচরন করেছে তারা আওয়ামীলীগকে ভালবাসে না, বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে না বলে জানান।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন,‘ শোকের মাসে কোন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা কিংবা মতবিনিময় কোনভাবেই বাঞ্চনীয় নয়, অথচ সফুরা বেগম রুমি আপা সেটি করেছেন আমি তার প্রতিবাদ করেছি মাত্র।’

আপনি আরও পড়তে পারেন