ই-ভ্যালিতে টি-১০ অফারের নামে নতুন প্রতারণা!

ই-ভ্যালিতে টি-১০ অফারের নামে নতুন প্রতারণা!

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে এবার টি-১০ অফারের নামে নতুন  প্রতারণা করার অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়া ‘টি-৩’ ও ‘টি-৭’ অফারেও প্রতারণা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এসব প্যাকেজেও পন্য কিনে নির্দিষ্ট সময় ডেলিভারি না পাওয়ার অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।

পূর্বের সাইক্লোনের অর্ডার নিয়ে নানারকম প্রতারণার অভিযোগ থাকার পরও নতুন এসব প্যাকেজ ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদেরকে সন্তুষ্ট করতে পারছেনা। নির্দষ্ট সময়ে পণ্য না দিয়ে গ্রাহকদেরকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ।

জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভালিসহ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলেও ইভ্যালি নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করে প্রতারণা অব্যাহত রেখেছে। কারণ বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের নতুন নিয়মে পণ্য ডেলিভারির জন্য সময় বেঁধে দিলেও ইভ্যালি তা মানছেনা।

এমনকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে পণ্য ডেলিভারি দেয়ার পর টাকা নেয়ার কথা বলা হলেও তা মানছেনা ইভ্যালি। আর অগ্রিম টাকা নিলেও ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ডেলিভারি দেয়ার কথা থাকলেও ইভ্যালি নির্দিষ্ট সময়ে ডেলিভারি দিচ্ছেনা।

প্রতিষ্ঠানটি নতুন প্যাকেজে তিন দিনে পণ্য ডেলিভারির লোভ দেখিয়ে ‘টি-৩’ সাত দিনে পণ্য ডেলিভারির কথা বলে ‘টি-৭’ এবং ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ‘টি-১০’ প্যাকেজ ঘোষণা দিয়ে কাস্টমারদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে নিচ্ছে।

এর অজস্র প্রমাণ রয়েছে ইভ্যালির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। যে পেজের মাধ্যমে মূলত ইভ্যালি তাদের পণ্য বিক্রির প্রচার-প্রচারণা চালায়।

ইভ্যালির ওই পেইজে দেখা যায় প্রতারিত গ্রাহকের হাহাকার। তামান্না ইশরাক নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘টি-১০’-এর অর্ডার ছিল আজকে অলমোস্ট ২০ দিন হতে চলল এখনও কোনো খবর নেই। রিপোর্ট করলে সেম কথা বলছেন। সবসময় এই যদি হয় আপনাদের অবস্থা, মানুষ আস্থা রাখবে কেমনে?”

আসিফ রহমান নামে আরেক গ্রাহক লিখেছেন, ‘১৪ দিন হয়ে গেছে, টি-১০ অফারের পণ্য এখনও পেলাম না, অর্ডার শিফট হয়েছে ১৪ তারিখে, আজ ২০ তারিখ … এখনও পেলাম না।’

নিপু হক লিখেছেন, ‘এই দেশে আইন নেই। যদি থাকত তা হলে এসব ব্যবসায়ীকে পিটাইয়া দেশ ছাড়া করতাম। ১০ দিনে পণ্য দেওয়ার কথা এখন ২০ দিন হল পণ্য পাওয়ার কোনো খোঁজ নেই।’

এভাবে শত শত গ্রাহক টি-১০ এ অর্ডার দিয়ে পণ্য পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ। তারা বলছেন, ইভ্যালি ভুয়া শিপড দেখিয়ে আমাদের অর্ডার ডেলিভারি দিচ্ছেনা।

সার্বিক বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের মোবাইল নম্বরে বেশ কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ইভ্যালির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান শবনম ফারিয়ার সঙ্গে প্রতারণার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এখন শুটিংয়ে আছি, এর বেশি কথা আমি বলতে পারব না। জনসংযোগ বিভাগে আরও দুজন আছে তাদের সঙ্গে কথা বলুন।’

 

আপনি আরও পড়তে পারেন