লক্ষ্মীপুরে সড়কে টাকা না দেওয়ায় প্রাণ দিতে হলো রিকশাচালককে

লক্ষ্মীপুরে সড়কে টাকা না দেওয়ায় প্রাণ দিতে হলো রিকশাচালককে

লক্ষ্মীপুরে চলাচলের অনুপযোগী কাঁচা রাস্তা সংস্কার করে একদল লোক যানবাহনচালকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করছিল। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় অটোরিকশাচালক শফিক মোল্লাকে বেদম মারধর করা হয়। এতে বাড়ি গিয়ে কয়েকবার বমি করার পর রাত ৮টার দিকে শফিক মারা যান।

খবর পেয়ে পুলিশ শফিকের মরদেহ রাত সাড়ে ১২টার দিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আসমত আলী মসজিদের সামনে শফিককে মারধর করার ঘটনা ঘটে। শফিক একই এলাকার মজিদ মোল্লার ছেলে।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

এদিকে শফিকের মৃত্যুর খবরে এলাকার মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। আর পুলিশের ব্যাগে দিয়ে মোড়ানো মরদেহের পাশে বসে অসহায়ের মতো তাকিয়ে ছিলেন শফিকের বৃদ্ধ বাবা মজিদ মোল্লা। ঘরের ভেতরে স্ত্রীসহ নারীদের আহাজারি থামানোর কোনো ভাষা খুঁজে পাননি স্থানীয়রা।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, চররমনী মোহন গ্রামের আসমত আলী নামের কাঁচা রাস্তাটি বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় স্থানীয় তৌহিদ হোসেন ও মমিন উল্যাসহ কয়েক যুবক বালু পেলে এটি সংস্কার করে। এরপর যানবাহনচালকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেন তারা।

শুক্রবার বিকেলে শফিক যাত্রী নিয়ে ও মিন্টু নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তৌহিদ ও মমিনের লোকজন তাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা দাবি করে। কিন্তু তারা ১০০ টাকা দিয়ে যায়। সন্ধ্যায় ফেরার পথে তারা আবার শফিকের রিকশার গতিরোধ করে ৫০০ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তৌহিদ ও মমিনসহ সহযোগীরা তাকে বেধম মারধর করে। আহত অবস্থায় বাড়ি গিয়ে তিনি কয়েকবার বমি করে রাতে মারা যান।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান বলেন, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। ১০০ টাকা নিয়ে শফিক ও অভিযুক্তদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। পরে শফিক মারা যান। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন