তোমরা আমার নয়তো পর, বাবায় কইছন এক সহোদরঃ ফ্যাক্ট ইউপি নির্বাচন

তোমরা আমার নয়তো পর, বাবায় কইছন এক সহোদরঃ ফ্যাক্ট ইউপি নির্বাচন

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ

“ইলেকশন কি কাজের বেলা পরে গরীব এর পালা,ধনী গিয়া রাত্রি বেলা জিগায় তোমার কিতার খাম// “তোমরা আমার নয়তো পর বাবায় কইছন এক সহোদর, দোয়া-ভালবাসা চাই আশা করছি নির্বাচনে দাঁড়াইতাম” গীতিকার ফকির শামসুল শাহ এর রচিত গানের এই পংতী মালা গুলো সমাগত ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে বাস্তবে রুপ নিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ এর নির্বাচন ধাপে ধাপে হচ্ছে। তবে এখনো নির্বাচনী দিন তারিখ ঠিক হয়নি এমন ইউনিয়ন পরিষদ এর নির্বাচন চলতি সনের  ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে এমন সংবাদ রয়েছে। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুর উপজেলার  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান – মেম্বার প্রার্থীরা হোটেল -রেস্তোরাঁয়, চায়ের আড্ডায়, যানবাহন জার্নিতে ও পায়ে হেঁটে চলাকালীন সময়ে সর্বসাধারণের সাথে কোশল বিনিময় করার পাশা-পাশি নিজের পক্ষে সমর্থন আদায়ের প্রাণপণ  চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি নিজের পক্ষে সমর্থন আদায়ে বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোটার ও ভোটারদের পরিবারবর্গের খোঁজ -খবর নেওয়ার পাশা-পাশি  বলছেন যদিও ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামে আমরা বসবাস করছি মূলত তোমরা আমার আত্মার আত্বীয়। তোমাদের সাথে আমাদের পরিবারের আত্বীয়তার যোগ সুত্র রয়েছে বলে বাবার কাছ থেকে জানতে পারছি । কোনো ভাবেই আমাকে দুরে ঠেলে দিতে পারবেননা। সমাগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকলের দোয়া, ভালবাসা, সমর্থন আর ভোট প্রত্যাশী। তোমরা আমার নয়তো পর বাবায় কইছন এক সহোদর।
এব্যাপার মধ্যবিত্ত, হতদরিদ্র আর দিনমজুর একাধিক ব্যক্তি তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ইলেকশন আইলে বা কাজ কর্মের দরকার অইলে ধনী লোকজন আমাদের মত গরীবের খবর বার্তা লইন। অউতা-হউতা দেলাইবা খইন। বিস্কুট লাগাইয়া চা-ঠান্ডা এমনকি বিরানী খাবাইন। পথে- ঘাটে হাত মিলাইন।  এই সময় গেলেগি না দেখার বান কইরা মোবাইল টিপাইয়া কিংবা কান লাগাইয়া পাশ কাঠাইয়া চলে জাইন। চেয়ারম্যান -মেম্বার আর বড় লোকেরা এক টেবিল খাবার খাইন। আমরার আর খবর নাই। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, আপন-পর বুঝিনা। আউক আগে নির্বাচন। ভোট দিমু আমার মতো।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন