দলে কঠোর শৃঙ্খলা গড়ে তুলতে শক্ত অবস্থানে আ.লীগ

দলে কঠোর শৃঙ্খলা গড়ে তুলতে শক্ত অবস্থানে আ.লীগ

কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের লোকজনই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এবং অনেকেই বিদ্রোহীদের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন। এমনকি নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সহিংসতায়ও জড়াচ্ছে। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে শুধু বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়াই শেষ কথা নয়, এটা দলের সিদ্ধান্তকে চ্যলেঞ্জ করা। আবার এদেরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তারাও একই কাজ করছে। এতে দলীয় শৃঙ্খলার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বার বার এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে দলের শৃঙ্খলা শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে।

তাই বিদ্রোহী প্রার্থীর পাশাপাশি যারা তাদের পেছনে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রত্যেক বিদ্রোহী প্রার্থীর পৃষ্ঠপোষকদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তারা জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের মধ্যে একটা শক্ত শৃঙ্খলা গড়ে তুলতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ বিষযগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শুধু তাই নয়, দলের শৃঙ্খলা বিরোধী এবং দলের ইমেজ নষ্ট করে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত হলে তাদের বিষয়েও কঠোর অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারা দলের যে পর্যায়ের নেতাই হোক তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে সাংগঠনিক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার এ কঠোর অবস্থানেরই একটা বড় বার্তা বলে দলের নীতিনির্ধারকরা জানিযেছেন। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক ওবায়দুল কাদেরও দলের কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্রোহীদের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত ছিলো সেটাতো থাকবেই, কিন্তু বিদ্রোহীদের যারা মদদ দিয়েছে তারা নেতা হলে, হয়তো জেলার নেতা, উপজেলার নেতা তাদেরকেও কিন্তু শাস্তি পেতে হবে। এমনকি জনপ্রতিনিধি হলে, মন্ত্রী হোক, এমপি হোক প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌাধুরী বলেন, কারো কারো ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে। আওয়ামী লীগ একটি উদার গণতান্ত্রিক দল। তার মানে এই না, যে যা খুশি করে যাবে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য, শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড তো আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পদাক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গেলে কেউই ছাড় পাবে না। পদধারী নেতা যারা বিদ্রোহীদের মদদ দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের মধ্যে আরো শক্ত শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় এই কঠোর অবস্থান।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন