সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল শীত বস্ত্র

সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল শীত বস্ত্র
মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ;
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সোয়েটার,জ্যাকেট ও কম্বল  কিনে দেন শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
বিশাল রবিদাস (১২) ও আকাশ রবিদাস(১০) দুই ভাই। দুজনই লেখাপড়া করে হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুলে পাশাপাশি হোসেনপুর বাজারে আকাশ মুদি দোকানে ও বিশাল মুচির কাজ করে৷
তাদের মতোই সে বাজারে আরো অর্ধশতাধিক শিশু বিভিন্ন দোকানে কাজ করে। প্রত্যেক শিশুর পরিবারেই রয়েছে অভাব-অনটন। এই বয়সেই এই শিশুরা নিজেদের পরিবারের আয় রুজি বাড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে। শীত আসলে তাদের খরচ বেড়ে যায়, শীতের পোশাকের জন্য টাকা-পয়সা তো লাগবে।
এমন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দেওয়া হয়েছে শীতবস্ত্র উপহার।  ২৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) প্রশিকা হোসেনপুর প্রাঙ্গণে শীত বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুর ১ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে শীত বস্ত্র বিতরণ ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন আয়োজন৷ অনুষ্ঠানে ৫০ জন সুবিধা বঞ্চিত শিশুর শীত নিবারণের জন্য প্রদান করা হয় শীতের ভারী জ্যাকেট এবং সোয়েটার।
শিশুদের সাথে সময় কাটাতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন নিউইয়র্ক প্রবাসী নুরুল হাসান ও হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোস্তাফিজুর রহমান৷ তারা এই শিশুদের সাথে আনন্দঘন সময় পার করেন৷ এছাড়াও সংগঠনের উপদেষ্টা এ বি এম ছিদ্দিক চঞ্চল, আল আমিন অপু, সাব্বির আহমেদ,সাংবাদিক  আশরাফ আহমেদ ও তথ্যসেবা কর্মকর্তা সাবহা খন্দকার উপস্থিত ছিলেন৷
৮ বছর বয়সী আরিফ শীতের পোশাক পেয়ে বলে ” আগে অনেক শীত লাগত, এহন এই জ্যাকেট পড়লে শীতে পাইতো না, এই ভাইয়েরা অনেক ভালা, সবসময় আমাদের কাপড়-চোপড় দেয়”। শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন মূলত স্কুল শিক্ষার্থীদের টিফিনের জমানো টাকায় পরিচালিত একটি সামাজিক সংগঠন৷ ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে তারা বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে উপজেলাব্যাপী ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।
শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহমুদুল হক রিয়াদ বলেন, ‘আমরা টিফিনের জমানো টাকায় বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম করে থাকি,আমরা বিশ্বাস করি বঞ্চিত শিশুরাও আগামীর সম্ভাবনা।আমরা চাই প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিশুদের পাশে এগিয়ে আসুক। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা তরুণরা মিলেই গড়বো আগামীর বাংলাদেশ।

আপনি আরও পড়তে পারেন