গৃহহীন রবুজাকে ঝুপরি ঘর থেকে মুক্তি দিলো বাংলাদেশ পুলিশ

গৃহহীন রবুজাকে ঝুপরি ঘর থেকে মুক্তি দিলো বাংলাদেশ পুলিশ
সুদিপ্ত সালামঃ
মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার গৃহহীন থাকবে না একটি পরিবার- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদের উদ্যোগে সারা দেশের ন্যয় হরিনাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের নারায়নকান্দী গ্রামের রবুজা খাতুন পেলেন দুই কক্ষ বিশিষ্ট দৃষ্টি নন্দন একটি ঘর।
রবুজা খাতুন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামের মৃত ইসলাম মণ্ডলের স্ত্রী। জানা যায়, স্বামী ইসলাম মন্ডলের মৃত্যুর পর এক ছেলে ও দুই কন্যাকে নিয়ে দীর্ঘদিন অন্যের জমিতে একটি ঝুপরি ঘরে বসত করতেন রবুজা খাতুন।
গৃহহীনদের গৃহ প্রদানের জন্য হরিনাকুন্ডু থেকে পাঁচ জনের নামের তালিকা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পাঠায় হরিনাকুন্ডু থানা পুলিশ। সেই তালিকা থেকে রবুজার নাম চুড়ান্ত তালিকায় আসে। এরপর থেকে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশের সার্বিক তত্তাবধানে এই দৃষ্টি নন্দন বাড়িটি নির্মান সম্পন্ন হয়।
২৫ শে মার্চ শুক্রবার বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় রবুজাকে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর ও জমি বুঝিয়ে দেন ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম।
হরিনাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন,নির্মান শেষে বাড়িটি রবুজার হাতে তুলে দেবার অপেক্ষায় ছিলাম এবং অবশেষে আজ ঘরটি বুঝিয়ে দিতে পারলাম রবুজার কাছে।
তিনি আরও জানান, জমি ক্রয় করে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি নির্মাণ করা হয়।
সরকারী ঘর পেয়ে রবুজা খাতুনের চোখে আনন্দের অশ্রু চিকচিক করছিলো। তিনি বলেন, বৃষ্টি ঝড়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে ঝুপড়ি ঘরে। এখন থেকে আর কষ্ট করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আমি অনেক খুশী। আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুহাত তুলে দোয়া করব।
প্রতিবেশী সুখ বাহারের স্ত্রী জানান, রবুজা ছিলো একজন হতদরিদ্র গৃহহীন মানুষ। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর অন্যের বাড়িতে অসহায়ের মত দিনযাপন করতেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন