জগন্নাথপুরে বন্যায় ৮৪ টি সড়কের ক্ষয়ক্ষতি ও একটি ব্রীজ ঝুঁকিপূর্ণ , শুরু হয়নি সংস্কার কাজ

জগন্নাথপুরে বন্যায় ৮৪ টি সড়কের ক্ষয়ক্ষতি ও একটি ব্রীজ ঝুঁকিপূর্ণ , শুরু হয়নি সংস্কার কাজ
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ
বন্যার স্রোতে আর ঢেউ এর আঘাতে জগন্নাথপুর এর ৮৪টি সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ১ শত ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। বন্য পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বিগত প্রায় এক মাসেও গ্রামীণ সড়ক গুলো সংস্কার ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের নির্মাণ কাজ না হওয়ায় বিপুল জনগোষ্ঠী মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আজ ৩১ শে জুলাই রোজ রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানাযায়, অব্যাহত ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে বিগত ১৭ ই জুন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় স্মরনকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে উপজেলার সবকটি বাড়ীতে পানি উঠে পড়ার পাশা-পাশি সবকটি সড়ক বন্যার জলে নিমজ্জিত হয়। এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও উন্নতি হয়নি গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা। কারন বন্যার পানির প্রবল স্রোতে আর ঢেউয়ের আঘাতে উপজেলার ৮৪ টি সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ায় এবং সড়কের উপরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পুকুরে পরিনত হয়েছে। এছাড়াও কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর ব্রীজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যার ফলে সড়ক গুলোতে কোনো  যানবাহন চলাচল না করায় জীবন জীবিকার তাগিদে অতিকষ্টে  কাঁদা পানি মাড়িয়ে প্রতিনিয়ত চলাফেরা করছেন বিপুল জনগোষ্ঠী। কোনো কোনো ভাঙ্গনে স্থানীয় উদ্যোগে মেরামত ও বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করার দৃশ্যও প্রতিয়মান। উপজেলার বেশী ক্ষয়-ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক গুলো হচ্ছে, কলকলিয়া বাজার -তেলিকোনা( চন্ডিঢহর) সড়ক, ভবের বাজার-নয়াবন্দর-কাঠাইলখাইর সড়ক, জগন্নাথপুর – শিবগঞ্জ -বেগমপুর সড়ক, মজিদপুর- এরালিয়া বাজার সড়ক, রানীগঞ্জ -শিবগঞ্জ সড়ক, শিবগঞ্জ বাজার- দোস্তপুর সড়ক, আলমপুর-রৌয়াইল সড়ক, লামা রসুলগঞ্জ-লাউতলা সড়ক, কেশবপুর – রসুলগঞ্জ বাজার সড়ক, নয়াবন্দর- দাওরাই সড়ক ভাঙ্গনের কবলে পড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সরাসরি  যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে উপজেলার ৮৪টি সড়কের সর্বমোট ১শত ৮০ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে ১শত ৪০ কোটি টাকা। এছাড়াও ২২ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রীজটি বন্যার স্রোতে নীচের দিকে ধাবিত হওয়ার পাশাপাশি ব্রীজের এপ্রোচ ধ্বসে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন করে ব্রীজ নির্মাণ এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি এবং আরো ৬টি ব্রীজের এ্যাপ্রোচ মেরামতের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ সোহরাব হোসেন বলেন, দুই দফা বন্যায় এই উপজেলার সড়ক গুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক গুলো ও ব্রীজ গুলোর ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরী করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন