কাজিপুরে নায্যদামে সার পাচ্ছে কৃষকরা

কাজিপুরে নায্যদামে সার পাচ্ছে কৃষকরা

মোঃ জহুরুল ইসলাম, কাজিপুর প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জের কাজিপুরে  উপজেলা কৃষি অফিস থেকে অনুমোদিত  ডিলারদের কাছ থেকে  বরাদ্দকৃত রাসায়নিক সার  কৃষকেরা যাতে  সঠিক সময়ে ন্যায্য দামে সার পায় সেই লক্ষ্যে মাঠে   কঠোরভাবে তদারকি ও দেখভাল  করছেন কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিস।উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম এর নেতৃত্বে চলতি রোপা আমন মৌসুমে যেন কোনভাবেই সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নিতে না পারে  সে বিষয়ে সকল কর্মকর্তা  সর্তকতার সাথে  মাঠে নেমেছেন এবং কৃষকদের নিবিগ্নে সার বিতরণ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়,উপজেলায় বিসিআইসির ১৭  জন রাসায়নিক সার  ডিলার এবং বিএডিসি ১১ ডিলার রয়েছেন। তাছাড়া উপজেলায় মোট ১০০ জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়মিত সার বিক্রি করে আসছেন। যেখানে সার বিতরণ কালে উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ১২ টি ইউনিয়নে ৩০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ  অফিসার উপস্থিত থেকে তদারকি করেযাচ্ছেন।

প্রতি কেজি সারের বিক্রি দাম ইউরিয়া ২২ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা ও এমওপি ১৫ টাকা করে বিভিন্ন পয়েন্ট এলাকায় নিবন্ধনদিত কৃষকদের মাঝে  বিক্রি করা হচ্ছে।কাজিপুর কৃষি থেকে জানা যায়, কাজিপুরে রোপা আমন মৌসুমে ধান রোপনের লক্ষমাত্রা ছিল ১০৭১০ হেক্টর জমিতে কিন্তু লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে ১১১০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষাবাদ হয়েছে।

চলতি গত তিন মাসে কাজিপুরে  রাসায়নিক সার বরাদ্দের পরিমাণ ইউরিয়া ১৭২৮ মেট্রিকটন, যা ইতোমধ্যে সুস্ঠভাবে ১৬০০ মেট্রিকটন বিতরণ করা হয়েছে। রাসায়নিক সারের কোথাও কোনো অনিয়ম পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগের এমন তদারকিতে অনেকটা খুশি কৃষকেরা।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম   বলেন, কাজিপুর  উপজেলায় সব ধরণের রাসায়নিক সারের পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ আছে। কোনো প্রকার সংকট নেই। ডিলারদের বরাদ্দকৃত সার সঠিক পরিমাণ উত্তোলন এবং বিক্রি ব্যবস্থা আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি।কেউ কোন রকম কারসাজি করার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  এ ছাড়া কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করে রশিদ দেয়া হচ্ছে। সরকারি দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করা হলে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।সর্বোপরি কৃষকের মাঝে আমরা সুষ্ঠুভাবে সার বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছি।এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি,উপজেলা প্রশাসন সকলের সহযোগিতায় সফল করত পেরেছি। বি সি আই সি ডিলার মেসার্স সিকিউরিটি ট্রেডাসের মালিক মোঃশফিকুল ইসলাম( চাঁন) বলেন, আমরা যে বরাদ্দ পাই তা থেকে অর্ধেক সাব- ডিলারদের মাধ্যমে নিবন্ধনদিত কৃষকদের জমির অনুপাতে কৃষি অফিসের ব্লক সুপারভাইজারদের উপস্থিতিতে সরকারি নির্ধারিত দামে সার বিক্রি করা হয়। সেখানে রেজিস্ট্রারে মাধ্যমে কৃষকদের নাম ও সারের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। এতে অনিয়মের কোন সম্ভবনা নেই। সঠিকভাবে কৃষকরা সার পাচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় কৃষক নায্যদামে সার পেয়েছেন।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন