মোঃ আব্দুর রহীম মিঞা ( টাঙ্গাইল) ভূঞাপুর প্রতিনিধি ঃ নিখোঁজ হওয়ার ১২ দিন পরেও সন্ধান মেলেনি ভূঞাপুর উপজেলার তারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেনির ছাত্র হৃদয়ের (১২)। সে উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের তারাইল (তারাই) গ্রামের হত-দরিদ্র ভ্যান চালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের একমাত্র ছেলে। ৬ সেপ্টেম্বর বাড়ির থেকে স্কুলে যায় হৃদয় । সারাদিন পেরিয়ে গেলেও সন্ধ্যা অবদি বাড়ী না ফেরায় মা-বাবা তাকে গ্রামের এদিক-সেদিক খোঁজতে থাকে। বহু খোঁজা-খুজির পর তাকে না পেয়ে তার বাবা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ৮ সেপ্টেম্বর ভূঞাপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন। ঘটনার এতোদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন সন্ধান মেলেনি হৃদয়ের । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এক মাত্র ছেলেকে না পেয়ে পাগল পারা হৃদয়ের মা রানী বেগমকে। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে ভাত খেয়ে হৃদয় স্কুলে যায় । স্কুল ছুটির পর দুপুর গড়িয়ে গেলেও খাইতে না আসায় ওর সম-বয়সি ছেলে পেলেকে জিজ্ঞাসা করি হৃদয়কে কেউ দেখছে কিনা। কিন্তু কেউ ওর সন্ধান বলতে পারেনি। তারপর থেকে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তার সন্ধান পাইনি। এদিকে এলাকার মধ্যম বয়সের ব্যক্তি মোঃ আব্দুস শেখের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ওই দিন বেতুয়া এলাকার দুষ্ট প্রকৃতির মিলি নামের এক মহিলার সাথে যাইতে দেখেছে বলে যানান । তিনি আরো বলেন নিখোঁজের দুই দিন পর মোবাইলে কথা হয়েছে হৃদয়ের সাথে । কথায় আছে জানতে চাওয়ার আগেই মোবাইল সংযোগ কেটে দেন। মোবাইলে কথা বলার সূত্র ধরে এবং ট্যাক করে হৃদয়ের বাবা ও ভূঞাপুর থানা পুলিশ জামালপুরে গিয়ে অভিযান চালান । জামালপুরে যে দোকান থেকে কথা বলেছে হৃদয় সে দোকানের সন্ধান পেলেও তাকে সেখানে আর খোজে পাওয়া যায়নি বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওর বাবা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।। এ বিষযে এলাকার আরো কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায় হৃদয় স্কুল পড়–য়া ছাত্র হলেও খুবই চ’ল প্রকৃতির ছেলে বলে জানা যায়। হৃদয়ের চাচা মনির শেখ বলেন নানা জায়গা থেকে সংবাদ আসে সেখানে ছুটে যাই কিন্তু কোথাও খোঁজে পাচ্চি না ওকে। আজ ( শনিবার ) এক ব্যক্তির সংবাদের যমুনার সেতুর গোলচত্বরে কেউ ওকে দেখেছে । সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে ঘুরে আসলাম তাকে পেলাম না ।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার এস আই তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ বলেন ছেলেটি নিখোঁজ হওয়ার বাবার থানায় জিডি করার পর থেকে অনুসন্ধান চালাচ্ছি বিভিন্ন যায়গায় । এখনও কোনো সন্ধান পাইনি। অনুসন্ধান অব্যাহত আছে।
