নালিতাবাড়ী-নাকুগাঁও স্থলবন্দর মহাসড়কে মরণফাঁদ

নালিতাবাড়ী-নাকুগাঁও স্থলবন্দর মহাসড়কে মরণফাঁদ

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) সংবাদদাতা: শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দর মহাসড়কে পাশাপাশি সৃষ্ট দুটি খাদে মরণফাঁদ তৈরি হয়েছে। কিন্তু গত দুই মাসেও সৃষ্ট এ মরণফাঁদের বিষয়টি জানতে পারেনি সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ (সওজ)। ফলে ব্যস্ততম এ মহাসড়কের হাতিপাগার এলাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত চলছে ছোট ও হাল্কা থেকে ভারি যানবাহন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী-নাকুগাঁও মহাসড়কের হাতিপাগার এলাকায় মহাসড়কের নিচ দিয়ে নেওয়া হয়েছে সেচনালা। গত প্রায় দুই মাস আগে বৃষ্টিপাতে নিচের মাটি, সড়কের বেস, সাব-বেস ও ইউড্রেনের ছাদ ধ্বসে পড়ে। এতে মহাসড়কের মেইন দুই লেনের দুইপাশ ঘেঁষে সাধারণ যান চলাচলের জন্য তৈরি ফুটপাত ধ্বসে পড়ে। একই স্থানে দুইপাশে ফুটপাতের ধ্বসে মাঝারি ধরণের দুটি গর্ত তৈরি হয়। ফলে মহাসড়কটির ওই অংশ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সামান্য ভুল করলেই যানবাহনের চাকা ঢুকে ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। এমতাবস্থায় স্থানীয়রা গাছেল ডাল কখনও বা বাঁশের টুকরা পুঁতে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন দুর্ঘটনা এড়াতে। কিন্তু গর্তের সৃষ্টি এবং এলাকাবাসীর এ চেষ্টার প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কিছুই জানে না সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ। ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাটির বিডিএসটি (ডাবল বিটুমিনাস সারফেজ ট্রিটমেন্ট) চলমান থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বা ওই কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা কারও নজরে আসেনি বিষয়টি।
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিদিন নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পাথরবাহী ভারি যানবাহন ছাড়াও, বালুবাহী ভারি ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি, অটোবাইক, মোটরসাইকেলসহ অসংখ্য ছোটবড় যান চলাচল করে। ফলে সড়কটির যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমনি সৃষ্ট গর্তে যে কোন মুহূর্তে সামান্য অসাবধানতায় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। অথচ গর্ত সৃষ্টির প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার তো দূরের কথা, কেউ খোঁজ নিতে পর্যন্ত আসেনি।
শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি অতি দ্রæত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন