জগন্নাথপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম এর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন সহ একাধিক মামলা

জগন্নাথপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম এর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন সহ একাধিক মামলা
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)+ স্টাফ রিপোর্টারঃ
আর মাত্র দুদিন বাকি। আগামী ২রা নভেম্বর অনুষ্ঠিত  হচ্ছে সুনামগঞ্জের  জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৫ প্রার্থী। তমধ্যে চারজন ব্যবসায়ী ও একজন সাংবাদিক রয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থীর মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন সহ একাধিক মামলা এবং অর্ধ কোটি টাকার ব্যাংক লোন রয়েছে বলে হলফনামা পর্যালোচনায় এমন তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকালে দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই নির্বাচনে জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ। তিনি পেশায় খামার ব্যবসায়ী। তার আয়ের উৎস কৃষি খাত ও খামার। আয়ের পরিমাণ ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা, নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা, জমা ২ কোটি টাকা, গাড়ি ২৪ লাখ টাকা, স্ত্রীর স্বর্ণালংকার ২০ ভরি।
সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নারী নির্যাতন মামলা ও সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সিলেটের শাহপরান থানায় দায়েরকৃত একটি জিআর মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। ওই প্রার্থীর দুটি ব্যাংকে লোন রয়েছে ৫২ লাখ ৯১ হাজার ৫৯১ টাকা।
এদিকে- তালহা আলমের ঘনিষ্টজনদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মারধর ও নির্যাতনের মামলায় তালহার বাবাও বেশ কিছুদিন জেল হাজতে ছিলেন। শর্তস্বাপেক্ষে তিনি আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আাসেন। এ মামলাসহ সৈয়দ তালহা আলম এর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এসব তথ্য জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের খেজুরগাগাছের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম নিজেই মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় তার হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
উপজেলার সচেতন মহলের প্রশ্ন একটাই , আমরা  কাকে চেয়ারম্যান বানাবো যার কাছে নিজের বউও নিরাপদ নয়।
এ বিষয়ে জমিয়তের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন। যার ফলে তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন