ঠাকুরগাঁওয়ে ইউএনও, শিক্ষা কর্মকতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা

ঠাকুরগাঁওয়ে ইউএনও, শিক্ষা কর্মকতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা

জসীম উদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার চাপোড় পারব¦র্তীপুর দাখিল মাদ্রাসার
মেনেজিং কমিটি/২২ নিয়ে গত ১০/১০/২২ ইং তারিখে রানীশংকৈল সহকারী জজ
ঠাকুরগাঁও আদালতে জন বিবাদী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন আনিকুল ইসলাম
নামে এক ব্যক্তি।
মামলা ও সরেজমিনে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার চাপোড়
পারব¦র্তীপুর দাখিল মাদ্রাসার মেনেজিং কমিটি/২২ নিবার্চনকে কেন্দ্র করে
এই মামলা দায়ের করেন তিনি। নিজেকে অভিভাবক হিসাবে দাবি করে এই মামলায়
উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, মেনেজিং কমিটি/২২, আমাকে ভোটার করা হয়নি আমার
মেয়ে ঐ মাদ্রাসার নিয়মিত ছাত্রী। ভোটার তালিকায় অনেক অনিয়ম রইয়েছে।
মাদ্রাসার জমি নিও সেই আরজিতে উল্লেখ্য করেনে।
সব বিষয় আমলে নিয়ে রানীশংকৈল সহকারী জজ আদালত জবাব চেয়ে নোটিশ করেন এডহোক
কমিটির সভাপতি রানীশংকৈল উপজেলা নিবার্হী অফিসার এবং প্রতিষ্ঠানের
ভারপ্রাপ্ত সুপার রমজান আলীর কাছে।
এবিষয়ে চাপোড় পারব¦র্তীপুর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার রমজান আলী
বলেন, আনিকুল ইসলামের মেয়ে ভার্তি হওয়ার পর সে এখন চাপোড় পার্ব্বতীপুর
উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়মিত ছাত্রী। ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছে
ফারজানা আকতার নামে প্রত্যয়ন পত্র জমা দিয়েছে। তাই তিনি ভোটার তালিকায়
অনÍর্ভুক্ত হয় নাই। ভোটার তালিকায় কোনো অনিয়ম নাই, এই এলাকার যে কোনো
জায়গার ছেলে মেয়ে ভর্তি হতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভোটার তালিকা প্রস্তুত
করার আগে সব ছাত্র-ছাত্রীদের নোটির্শ করা হয়। সেইটা করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের জমি নিয়ে একটু ঝামেলা রইয়েছে সেইটা আদালতে মামলা
প্রক্রিয়াধীন। একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানী করা হচ্ছে।
এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭/১০/২০ সালে, বালিকা বিদ্যালয় ৫/০৪/২২ সালে,
চাপোর উচ্চ বিদ্যালয় ২৩/০৩/২২ সালে আনিকুল ইসলাম নামে এই ব্যক্তি এলাকার
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিথ্যা ঝামেলা দিয়ে অভিযোগ মামলা করে
প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরকে হয়রানী করেন।
এলাকার সাবেক প্রধান শিক্ষক জয়নুল বলেন, মেনেজিং কমিটির নিবার্চন কে নিয়ে
মামলা হয়েছে আমি শুনেছি। আনিকুল এর আগেও দুইএক প্রতিষ্ঠানে ঝামেলা
করেছেন।
রানীশংকৈল উপজেলা নিবার্হী অফিসার সোয়েল সুলতান জুলকার নাঈম কবির বলেন,
চাপোড় পারব¦র্তীপুর দাখিল মাদ্রাসার এডহোক কমিটির সভাপতি ছিলাম আমি,
মেনেজিং কমিটির নিবার্চন করতে যা প্রয়োজন ছিলো সেটা করার হয়েছে। কেউ
মামলা করতে পারে। মামলার সত্যতা কতদূর সেটা ভারপ্রাপ্ত সুপার এবং আদালত
দেখবে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন