বারহাট্টায় চোরের উপদ্রবে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী

বারহাট্টায় চোরের উপদ্রবে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী

রিপন কান্তি গুণ, বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি; 

নেত্রকোনার বারহাট্টায় চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ জনগণ। টাকা-পয়সা, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী নিয়ে চোরের ভয়ে বিপদে এলাকাবাসি। প্রতিদিনই কোন না কোন গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের ভয়ে রাত জেগে পাহাড়া দিতে হচ্ছে এলাকার মানুষদের।
গত দুই -তিন সপ্তাহ ধরে চুরির প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। উপজেলার গড়মা, বারঘর, গোবিন্দপুর, গুহিয়ালা এলাকায় চুরির প্রবণতা সবয়েছে বেশি।
গত (৭ নভেম্বর) সোমবার রাতে কোন এক সময়ে গড়মা গ্রামে সুবল মন্ডলের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এর আগে রাত আনুমানিক ১০:৩০ মিনিটে কৃষ্ণ নন্দীর বাড়ির আঙিনায় অপরিচিত দু’জনকে ঘুরাঘুরি করতে দেথে মহিলারা চিৎকার করলে চোররা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকা নিরব হলে চোরের সংঘবদ্ধ চক্র গড়মা কালীমন্দিরের সামনে চা এবং মুদির দোকানের তালা ভেঙে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়।
ভুক্তভূগী সুবল মন্ডল জানান, গতরাতে বরবরের মত রাত ৯:৩০ মিনিটে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। সকালে দোকান খুলতে গিয়ে দেখি দোকানের তালা ভাঙ্গা এবং ভিতরে ঢুকে দেখি মালামাল এলোমেলো পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন হতদরিদ্র মানুষ। দোকানের ব্যবসার টাকা দিয়েই আমার সংসার চলে। আমি এখন কি করবো দিশা খোঁজে  পাচ্ছিনা। আমি এর সুষ্ঠ তদন্ত চাই।
গড়মা গ্রামের তপন সরকার জানান, এর আগে গত (০৬ নভেম্বর) রবিবার রাত আনুমানিক ১-২টার দিকে আমার রান্না ঘরের ভিতরের খিল/ছিটকিনি খুলে চোর ঘরে ঢুকতে চাইলে দরজা খোলার শব্দ পেয়ে, ঘুম থেকে জেগে ওঠে চোরকে ধাওয়া করি, কিন্তু ধরতে পারেন নাই।
তিনি আরও বলেন, বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে এ যাত্রায় রেহায় পেয়েছি। আমি একজন কৃষক আমার বসত ঘরে টাকা-পয়সা, ধান, চাল ছিল। এগুলো চুরি হয়ে গেলে আমি পথে বসে যেতাম।
গোবিন্দপুর এলাকার লিটন সরকার বলেন, প্রতি রাতে আমার আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়, কখন চোর আমার বাড়িতে হানা দেয়। প্রতি রাতেই এমন ঘটনাগুলো ঘটার পর থেকেই প্রতি রাতেই আমাকে জেগে থাকতে হয়। আমার জানামতে এমন অনেক পরিবার আছে, যারা আমারই মতো রাত জেগে নিজের বাড়ি পাহাড়া দিচ্ছে। আমি এবং আমার এলাকাবাসী নির্ঘুম রাতজাগা থেকে রেহাই পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ কামনা করছি।
এলাকাবাসী তিক্ততার সাথে বলেন, বিগত কয়েক  সপ্তাহ ধরে উপজেলার কোন না কোন গ্রামে রাতের আধারে চুরি সংঘটিত হচ্ছে। এলাকায় এমন ছিঁচকে চোরের উপদ্রব নির্মুল করতে বারহাট্টা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মহোদয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন