ভুল ওষুধে মারা গেল খামারির ২২০০ মুরগী

ভুল ওষুধে মারা গেল খামারির ২২০০ মুরগী

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি 

ঠাকুরগাঁওয়ে এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রতিনিধির দেওয়া ভুল ওষুধ প্রয়োগে একটি খামারের প্রায় ২২০০ মুরগী মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কোম্পানির ও প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন খামারের মালিক মমিনুল হক।

জানা গেছে, সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। সোমবার (৭ নভেম্বর) ১৬০০ আর মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আরও ৬০০ মুরগী মারা যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অন্যের জমি লিজ নিয়ে ১০ বছর ধরে মুরগি খামারের ব্যবসা করে আমার দুই ছেলে-মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ও স্কুলে লেখাপড়া করানোসহ সংসার চালিয়ে আসছি। কিন্তু এ ধরনের দুর্ঘটনা কখনো ঘটেনি। গত কয়েকদিন আগে এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যাল নামের একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মাহাবুব আমাকে মুরগির ঠাণ্ডা ও সর্দির ওষুধ টিআমোভেট দিয়ে বলে এই ওষুধ প্রয়োগে মুরগির কোনও ক্ষতি হবে না। আর ক্ষতি হলে তা কোম্পানি দেখবে। তার কথা মতো আমি ১৬ হাজার টাকার ওষুধ কিনে গত শুক্রবার খামারের ৪ হাজার সোনালি জাতের মুরগিগুলোকে খাইয়ে দেই। শনিবার থেকেই মুরগিগুলো মরতে শুরু করে। ৪ হাজার মুরগির মধ্যে ২২০০ মুরগি মারা যায়। মুরগিগুলোর বয়স ৪২ দিন করে হয়েছিল। ৬০ দিন বয়স হলেই সেগুলো বিক্রি করতাম।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার এ মুরগিগুলোর পেছনে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বুঝতে পারছি না এখন কি করব। আমি তো পথে বসে যাব। এ ঘটনার পর ওই ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিকে ফোন করলে তিনি আর ফোন ধরছেন না। আমার সঙ্গে এমনটা কেন করা হলো। আমি ওই কোম্পানি ও তার প্রতিনিধির কঠোর শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মাহাবুব বলেন, ‘আমরা মমিনুলকে যে ওষুধ দিয়েছি তা তিনি হয়তো সঠিক মাত্রায় দেননি। আমার তো এখানে কোনও দোষ দেখছি না।

তবে মমিনুলের খামারে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে আসা ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা: আল মামুন জানান, টিআমোভেট নামের এন্টিবায়োটিক ওষুধটি কোনও ভাবেই সোনালি এই জাতের মুরগির জন্য নয়। এই ওষুধটি লেয়ার জাতের মুরগির জন্য। এখানেই আসলে ভুলটি করেছে ওই কোম্পানির প্রতিনিধি।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, খামারের মালিক ভুল চিকিৎসার অভিযোগে এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যাল ও প্রতিনিধির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন