মাত্র পাঁচ মাসে হাফেজ পাকুন্দিয়ার ফাহাদ।

মাত্র পাঁচ মাসে হাফেজ পাকুন্দিয়ার ফাহাদ।
মাহফুজ হাসান,স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার জান্নাতুল নাঈম ফাহাদ মাত্র পাঁচ মাসে পবিত্র ইসলামি ধর্মগ্রন্থ কোরআন মুখস্থ করে চমক সৃষ্টি করেছেন।একজন পবিত্র কোরআনের পাখি(হাফেজ)এর মূল্য ইহলৌকিক ও পারলৌকিক উভয় স্থলেই অত্যন্ত সুমহান।
শিশু হাফেজ ফাহাদ মাত্র সাড়ে ৯ বছর বয়সে এ বিষ্ময় সৃষ্টি করেছেন।ইসলামি অনুসন্ধানে জানা যায়, হাফেজরা সর্বোত্তম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত।  কোরআনের হাফেজ মুমিনদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়”।(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০২৮)
উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের মিরুককান্দি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী  মো.মোখলেছুর রহমানের ছেলে,জান্নাতুল নাইম ফাহাদ।
জানা যায়,ফাহাদ পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করেছেন,পৌর এলাকার চরপাকুন্দিয়া গ্রামের” দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে।
দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মুফতি মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, হিফজ শুরু করার পরই আমরা ফাহাদের মাঝে মেধার প্রতিভা অনুভব করি। সে মাত্র পাঁচ মাসে হিফজ সম্পন্ন করেছে। তবে সে খুব ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির ছেলে। ফাহাদ জন্য দেশবাসীর প্রতি দোয়া চেয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, নুরানী ও নাজেরা শাখায় পড়াশোনা শেষ করতে সময় লাগে প্রায় তিন বছর। সেখানে তার সময় লেগেছে মাত্র নয় মাস। ফাহাদের চেষ্টা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রচেষ্টা ও পরিবারের সহযোগিতায় আল্লাহর রহমতে সে এই মহা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
 সে যেন বড় হয়ে কুরআনের খেদমত করতে পারে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবারের লোকজন।
কোরআন সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ। আল্লাহ কোরআনকে কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানুষের জন্য মনোনীত করেছেন এবং পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্যই আমিই তার রক্ষক”।(সুরা হিজর, আয়াত : ৯)
হাফেজরা আল্লাহর কোরআন সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার অন্যতম অংশ। ইসলাম তাদের বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন