হোসেনপুরে জীর্ণশীর্ণ জীবনের দখলে প্যাডেল রিকশা চালকরা।

হোসেনপুরে জীর্ণশীর্ণ জীবনের দখলে প্যাডেল রিকশা চালকরা।
মাহফুজ হাসান,স্টাফ রিপোর্টার:
 কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের পূর্ব ধূলজুরী গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ রিকশাচালক গিয়াস উদ্দিন৷
প্যাডেল রিকশাচালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেণ তিনি।
 যন্ত্রচালিত রিকশা বাজারে আসার পর উপজেলায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল রিকশা। এখন হোসেনপুরের কোথাও পায়ে চালিত রিকশা নেই বললেই চলে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আসার পর থেকে প্যাডেল রিকশার জায়গা পুরোটাই দখল করে নিয়েছে।সময় বাঁচাতে সবাই ব্যাটারিচালিত রিকশা দিয়েই চলাচল করে।
একটা সময় দেখা যেত রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে সংসার চালাত শতশত মানুষ। কিন্তু বর্তমান সময়ে পায়ে চালিত রিকশা খুব একটা দেখা যায় না। এক সময় পায়ে চালিত রিকশা খুব জনপ্রিয় ছিল। দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে এখন সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে হোসেনপুর উপজেলায়।কিন্তু গিয়াস উদ্দিনের মত অর্থহীন
হাতে গোনা কয়েকজনই রিকশার প্যাডেলের সাথে বেঁধে রেখেছেন জীবনচক্র।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে দেখা হয়,প্যাডেল রিকশাচালক গিয়াস উদ্দিনের সাথে। চেহারায় স্পষ্ট রোগাক্রান্তভাব। শ্বাসকষ্ট তবুও প্যাডেল রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন জীবিকার তাগিদে। খেয়ে বেঁচে থাকতে তো হবে। সামর্থ্য নাই রিকশা কেনার তবুও কারো কাছে হাত পাততে নারাজ তিনি। ২০ বছর যাবৎ এভাবে প্যাডেল রিকশা চালিয়েই চলছে গিয়াস উদ্দিনের সংসার।
জিগ্যেস করলে রিকশাচালক গিয়াস উদ্দিন প্যাডেল চালাতে চালাতে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন,
“কোনো দিন ৮০ টেহা, কোনো দিন ১০০ টেহা, কোনো দিন খালি হাতেও বাইত যাইতে হয়। আমার প্যাডেল রিকশায় কেউ উডে না গো বাজান।”
 গিয়াস উদ্দিন আরও জানান, গ্যাসের দোকান থেকে মানুষের বাসায় গ্যাসের বোতল ডেলিভারি দিয়ে সারাদিনে ৮০-১০০ টাকা আয় হয়। কোনোদিন খালি হাতেও ফিরতে হয়। অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি আর প্যাডেল মারতে পারেন না বলেও জানান তিনি।
মেসার্স সিদ্দিক এলপিজি গ্যাস স্টোরের মালিক সিদ্দিক হোসেন জানান, দুই জন রিকশা চালক বাসায় এলপিজি গ্যাস ডেলিভারি করে। কোনোদিন ১০০ টাকার মতো ভাড়া পায় তারা। এলপিজি গ্যাস বিক্রি না হলে তাদের ইনকামও বন্ধ থাকে। ব্যাটারি চালিত রিকশা হলে যাত্রীর ভাড়াও পেতেন তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন