যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখলের জন্যই বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন: ওবায়দুল কাদের

যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখলের জন্যই বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখলের জন্যই বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। বিদেশিদের আপন করতে গিয়ে তারা দেশের জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। নিজেদের সৃষ্ট ষড়যন্ত্রের জালে বিএনপিই আটকে গেছে। বিএনপি শুধু ক্ষমতা চায়! কিন্তু নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। তাই তারা অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন হলো জাতীয় সম্পদ নষ্ট ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা। যারা জনগণকে শত্রু জ্ঞান করে তারা কখনো জনগণের আস্থা পেতে পারে না। বিদেশি প্রভুদের ওপর ভর করে তারা যে আন্দোলন করছে তাতে জনগণের মুক্তি তো মিলবেই না, বরং দেশকে দুর্বল করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন ভিসানীতি প্রকাশের পর বিএনপি অতিশয় আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিল। সরকার ও দেশের জনগণের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে নিজেদের অপরাজনৈতিক অভিলাষ বাস্তবায়নের উন্মাদনায় মেতে উঠেছিল। বিএনপি নেতারা এতদিন ভিসানীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করেছেন। আর এখন বলছেন- ‘কোন দেশের ভিসানীতিতে কী আছে, না আছে, তা দেখতে চাই না।’ আসলে বিএনপির সৃষ্ট ষড়যন্ত্রের জালে তারা নিজেরাই আটকে গেছে। বিএনপির সন্ত্রাস ও সহিংস রাজনীতির অপতৎপরতা কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ায় তারা এখন উলটো সুরে কথা বলতে শুরু করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের আইন-আদালতের ওপর সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী, এমনকি দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সংসদ-সদস্যদের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন। সরকারের হস্তক্ষেপ থাকলে এমন হয় না। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘দেশ নাকি ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছে!’ আসলে বিএনপির রাজনীতিই আজ ধ্বংসের শেষপ্রান্তে। তাদের মিথ্যাচারের ফাঁপা বেলুন ইতোমধ্যে চুপসে যেতে শুরু করেছে। তারা সরকার বিরোধিতার নামে দেশবিরোধিতায় লিপ্ত। তারা চায় শুধু ক্ষমতা! তারা ক্ষমতা চায় কিন্তু নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। তাই তারা অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের অসাংবিধানিক ও অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করেছিল। সেদিন শুধু শেখ হাসিনাকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতা। নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণদাবির মুখে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন তিনি মুক্তি পান।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে দেশের মানুষ তাদের আস্থা ও নির্ভরতার ঠিকানা শেখ হাসিনাকে মুক্ত করে। বঙ্গবন্ধুকন্যার মুক্তির মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের। দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আজ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধিশালী শান্তিপূর্ণ-কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন