ঢাকার দোহার উপজেলায় স্বাস্থ্য প্রশাসনের অভিযানেকালে জনসেবা ক্লিনিকের কর্মচারীরা লাইট বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
অভিযানে দুইটি বেসরকারি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোড ও লটাখোলায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন খানের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসীমউদ্দিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে দোহারের দুটি অবৈধ ক্লিনিকে অভিযান চালায় উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন।
দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোডের জনসেবা ক্লিনিকে অভিযানেকালে কর্মচারীরা লাইট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে মালিক পক্ষ এসে দুঃখপ্রকাশ করেন। অভিযানে জনসেবা ক্লিনিকে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় এ দণ্ড প্রদান করা হয়।
একই সাথে লটাখোলা আশা ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন খানের অনুপস্থিতিতে তাঁর নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় দুইটি বেসরকারি ক্লিনিকের অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বুধবার জরিমানার টাকা আদায় করবেন।
তিনি আরও জানান, আজকে আমরা জয়পাড়ার ৭টি হাসপাতালে গিয়ে লাইসেন্স ও অন্য বিষয় চেক করি। তারা যদি দ্রুত এই লাইসেন্স না নবায়ন করে তাহলে তাদের হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
অভিযানকালে সাথে ছিলেন উপজেলা স্যানেটারি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন।