দুই জুমার মাঝের গুনাহ মাফ হয় যে আমলে

দুই জুমার মাঝের গুনাহ মাফ হয় যে আমলে

রাসুল (সা.) একটি হাদিসে বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১০৯৮)। জুমার নামাজ আদায়কারীর জন্য মহান আল্লাহর পুরস্কার ঘোষণা তো রয়েছেই। কেয়ামতের দিন তাদের চেহারা থেকে বিশেষ নূরের ঝলক প্রতিভাত হবে। আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন পৃথিবীর দিবসগুলোকে নিজ অবস্থায় উত্থিত করবেন। তবে জুমার দিনকে আলোকোজ্জ্বল ও দীপ্তিমান করে উত্থিত করবেন। জুমা আদায়কারীরা আলো দ্বারা বেষ্টিত থাকবে, যেমন নতুন বর বেষ্টিত থাকে। এটি তাকে প্রিয় ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। তারা আলোবেষ্টিত থাকবে এবং সেই আলোতে চলবে। তাদের রং হবে বরফের…

বিস্তারিত

পবিত্র কুরআনের আলোকে যারা বুদ্ধিমান

পবিত্র কুরআনের আলোকে যারা বুদ্ধিমান

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী :পবিত্র কোরআন শরীফের একাধিক স্থানে আল্লাহ ‘উলুল আলবাব’ তথা বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণদের সম্বোধন করেছেন। আল্লাহর এই সম্বোধন ইতিবাচক ও প্রশংসাসূচক। কোরআনের এসব সম্বোধনর দ্বারা প্রমাণিত হয়, ‘উলুল আলবাবরা’ আসমানি হেদায়েত ও কল্যাণের অধিক নিকটবর্তী। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরা! আল্লাহকে ভয় কোরো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ১০০) বুদ্ধিমানের পরিচয় উলুল আলবাব বা বুদ্ধিমান তারাই, যারা সুস্থ জ্ঞান ও বুদ্ধির অধিকারী। যার মাধ্যমে তারা কল্যাণ চিনতে পেরে তা অনুসরণ করে এবং অকল্যাণ চিহ্নিত করে তা থেকে বিরত থাকে। কোরআনের ১৬…

বিস্তারিত

ফরিদপুরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন একই পরিবারের ৫ জন

ফরিদপুরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ একই পরিবারে ৫ সদস্যের

ফরিদপুরে এই প্রথম সদর থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটীলক্ষীপুর নদীর পাড় এলাকায় একই পরিবারের ৫ সদস্য একসাথে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। গতকাল শুক্রবার ধর্মান্তরিত পরিবারে প্রধান ঘোষণাকারী বর্তমানে মোসা. রাবেয়া বেগম (সাধনা রানী) ইনকিলাবকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সর্বশেষ গতকাল ঐ পরিবারের ৪র্থ সন্তান মো. সেখ আফিফের (অজয় কুমার মালো) সুন্নতে খাৎনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ধর্মান্তরের বিষয়টি পুরো এলাকাবাসীকে জানান দেন তারা। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি, ফরিদপুর জজকোর্টে নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে সনাতনধর্ম ত্যাগ করে, একই পরিবারের ৫ সদস্য মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেন। এরা…

বিস্তারিত

জীবিকার তাগিদে অমুসলিম দেশে যাওয়া যাবে?

জীবিকার তাগিদে অমুসলিম দেশে যাওয়া যাবে?

হালাল উপার্জন এবং হালাল উপার্জন দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করা ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তারই ইবাদত করার জন্য। ইবাদত করা যেমন ফরজ, ঠিক তেমনি হালাল উপার্জন বা হালাল রুজি অন্বেষণ করাও ফরজ। আল্লাহ পাকের নির্দেশ- সালাত সমাপ্ত হয়ে গেলে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় আর আল্লাহর অনুগ্রহে জীবিকা অন্বেষণ কর, তথা উপার্জন কর (সূরা জুমুয়া-১০)। জীবিকা উপার্জনের জন্য মানুষ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। কেউ চাকরি করেন, কেউবা ব্যবসা বাণিজ্য করেন। আবার অনেকে দেশের বাইরে উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে কাজ করতে যান। এক্ষেত্রে সবাই মুসলিম দেশে যাওয়ার সুযোগ…

বিস্তারিত

মরণোত্তর দেহদান সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা

মরণোত্তর দেহদান সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা

যা কিছু কল্যাণকর তা-ই ধর্ম। ধর্ম একে অপরের প্রতি দয়া, মায়া ও ভালোবাসতে শেখায়। একজন মানুষ সে যে ধর্মের অনুসারীই হোক না কেন, কোনো ভাবেই সে যেন একে অপরের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় বরং কল্যাণ লাভ করে এটাই ধর্মের শিক্ষা। মানুষ একে অপরের বিপদ-আপদে এগিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। তাই মরণোত্তর দেহদানও এমনই একটি কল্যাণকর কাজ। আজ থেকে হাজার বছর আগে যা মানুষের কল্পনায়ও ছিল না আজ তা মানুষের হাতের মুঠোয় এসে গেছে আর এখন ভাবছে যে এসব বৈধ না অবৈধ। আল্লাহ তাআলা তো এমন নয় যে, তিনি যে দেহ দান…

বিস্তারিত

১০ ফজিলত কোরআন তেলাওয়াতের

১০ ফজিলত কোরআন তেলাওয়াতের

মহাগ্ৰন্থ আল কোরআন এক মহান পরশপাথর। এর সংস্পর্শ সবাইকে ধন্য করে। চাই তা অধিক কোরআন তেলাওয়াত, হেফজ বা তাফসির জানার মাধ্যমে হোক। কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। এখানে ১০টি ফজিলত তুলে ধরা হলো- ১. কোরআন তেলাওয়াতকারীদের আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ণ প্রতিদান দিবেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্ৰহ বৃদ্ধি করবেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাঁরা এমন ব্যবসার আশাবাদী, যাতে কখনও লোকসান হয় না। যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল…

বিস্তারিত

যানবাহনে কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে?

যানবাহনে কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে?

কোরআন তেলাওয়াত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হাদিসে এর অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর তেলাওয়াত করল তার বিনিময়ে সে একটি নেকী পাবে, আর একটি নেকীর বদলা হবে দশগুণ, একথা বলছি না যে, আলিফ-লাম-মীম, একটি অক্ষর বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মীম একটি অক্ষর।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০) এছাড়াও আরেক হাদিসে হজরত আবু মুসা আল-আশ‘আরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআন…

বিস্তারিত

টাক মাথায় চুল লাগানো জায়েজ?

টাক মাথায় চুল লাগানো জায়েজ?

ইসলাম মানুষের শরীরে আল্লাহপ্রদত্ত সৌন্দর্যের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছে। এটি আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করার শামিল, যাকে ইসলামি শরিয়ত শয়তানি কর্মকাণ্ড বলে আখ্যা দিয়েছে। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে— হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন— ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) অভিশম্পাত করেছেন ওইসব নারীর ওপর, যারা পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যে পরচুলা লাগাতে বলে।’ বুখারি: ৫৯৩৭ তবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিকৃতি না ঘটিয়ে শুধু চিকিৎসার স্বার্থে যদি শরীরের কোনো অঙ্গ বা কোনো অংশ কেটে ফেলা হয় অথবা ছেঁটে ফেলা হয় কিংবা প্রতিস্থাপন করা হয়, তবে তার অনুমতি রয়েছে। তাই প্রাকৃতিক (আসল) চুল দিয়ে…

বিস্তারিত

ক্ষমা প্রাপ্তির শ্রেষ্ঠ আমল

ক্ষমা প্রাপ্তির শ্রেষ্ঠ আমল

পবিত্র আল-কুরআনে ক্ষমার ব্যাপারে তিনটি শব্দ বারবার ব্যবহৃত হয়েছে গাফির, গাফফার ও গফুর। ‘গাফির’ অর্থ ক্ষমাকারী, ‘গাফফার’ অর্থ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, ‘গফুর’ অর্থ পরম ক্ষমাশীল। মহান আল্লাহতায়ালা গাফুরুর রাহিম, পরম ক্ষমাশীল। যিনি ভুলত্রুটি, পাপতাপ, যাবতীয় অপরাধ ক্ষমা ও মার্জনা করেন এবং দয়া করুণা বর্ষণ করেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বান্দাকে নানাভাবে পরীক্ষা করেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে; তুমি সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যারা তাদের প্রতি মসিবত আপতিত হলে বলে, ‘নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব।’ তাদের প্রতি তাদের…

বিস্তারিত

ক্ষমা লাভের শ্রেষ্ঠ দোয়া

ক্ষমা লাভের শ্রেষ্ঠ দোয়া

হজরত আদম যখন লজ্জিত হয়ে দুনিয়ায় আগমন করলেন, তখন তিনি তওবা ইস্তিগফারে লিপ্ত হয়ে গেলেন। সে সময়ও আল্লাহ তাআলা হজরত আদম আলাইহিস সালামকে পথ নির্দেশ দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার কিছু বাক্য শিখিয়েছিলেন। যা এখানে তুলে ধরা হলো- যে কথাগুলো হজরত আদম আলাইহিস সালাম শিখেছিলেন তা কুরআন মাজিদে বিদ্যমান আছে। তা হচ্ছে- উচ্চারণ : রাব্বানা  জালামনা আংফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন। (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩) অর্থ : তারা দুই জন বলল- হে আমাদের প্রভু! নিশ্চয় আমরা আমাদের নফসের উপর অত্যাচার করেছি, আপনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন,…

বিস্তারিত