সুন্দর আচরণ এবং ভালো কাজও ইবাদত

সুন্দর আচরণ এবং ভালো কাজও ইবাদত

ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানবতা ও মানবিকতার ধর্ম। ইসলাম ধর্মে যে কোনো ভালো কাজ ভালো কথা বলা সুন্দর আচরণকে ইবাদত বলে গণ্য করা হয়েছে। মানুষ সামাজিক জীব, সমাজ জীবনে মানুষকে চলতে হয়, বলতে হয়। প্রয়োজনে একজন অপরজনের সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। এ সময় ভালো কথা বলা, সুন্দর আচরণ করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। ইসলাম তার অনুসারীকে সব সময় সুন্দর আচরণ করার ব্যাপারে জোর তাগিদ দিয়েছে। আল্লাহপাক বলেন, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা করবে না, পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম ও দরিদ্রদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার তথা সুন্দর আচরণ করবে এবং মানুষকে সুন্দর কথা…

বিস্তারিত

শীতকাল হচ্ছে ইবাদতের উত্তম সময়

শীতকাল হচ্ছে ইবাদতের উত্তম সময়

রাতের আকাশে চলছে ফালি ফালি জোসনার খেলা। ভোরের আলো ফুটতেই মাঠের সবুজ ধানের পাতাগুলো ভিজে উঠছে স্নিগ্ধ শিশিরে। সূর্যের বর্ণচ্ছটায় ধানের শীষের ডগায় নুয়ে পড়া কাচের মতো শিশিরবিন্দুগুলো যেন প্রতিবিম্ব হয়ে উঠছে সবুজ প্রকৃতির। আর মায়াবী প্রকৃতির এ অবয়ব যেন বিমুগ্ধ করতে শুরু করেছে সবাইকে। মাঠে পাকা ধানের সোঁদাগন্ধ আর সাতসকালে উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে আবারও সমাগত কুয়াশাচ্ছন্ন শীত। সুজলা-সুফলা বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বিশেষ দান। ষড়ঋতুর এ দেশের প্রকৃতি বছরে ছয়বার ভিন্ন ভিন্ন রূপ ও সাজ-সজ্জায় আমাদের সামনে আগমন করে। ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যময় অফুরন্ত এ…

বিস্তারিত

খাদ্য গ্রহণও যেভাবে ইবাদত

খাদ্য গ্রহণও যেভাবে ইবাদত

জীবন ধারণে অপরিহার্য বিষয় হলো পানাহার। পানাহার ছাড়া মানুষের জীবন রক্ষা অসম্ভব। শক্তি জোগাতে পানাহার করতেই হয়। এর বিকল্প কিছু নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান কর। পানাহার কর, কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না। -(সুরা আরাফ, ৩১) খাদ্য গ্রহণ একান্ত প্রয়োজনীয় বিষয় হলেও জীবনের প্রতিটি বিধানের মতো খাবারের ক্ষেত্রেও শিষ্টাচার ও বিধি নিষেধ শিক্ষা দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল। বিধি-নিষেধগুলোর প্রতি একটু খেয়াল রাখলেই খাবারও ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়, এতেও সওয়াব লাভ হয়। খাবার শুরুর আগে হাত ধোয়া, ডান…

বিস্তারিত

লোক দেখানো ইবাদত করার পরিণতি।

লোক দেখানো ইবাদত করার পরিণতি।

মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদত করা। তবে ইবাদত বা আমল কাউকে দেখানোর জন্য হলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। লোক দেখানো ইবাদতে মানুষের জন্য রয়েছে দুর্ভোঘ শাস্তি ও ভয়াবহ পরিণতি। লোক দেখানো ইবাদত মানুষকে শিরকের অপরাধের দিকে ধাবিত করে। কেননা লোক দেখানো ইবাদতকারী ছোট শিরকের অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়। এক সময় একাধিক ছোট শিরক বড় শিরকে পরিণত হয়। রিয়াকারী বা লোক দেখানো ইবাদতকারীর সব আমল বরবাদ হয়ে যায়। তাই আল্লাহ তাআলার কাছে আমল কবুল হওয়ার জন্য তা হতে হবে লৌকিকতামুক্ত এবং কুরআন-সুন্নাহ নির্দেশিত। আল্লাহ তাআলা লোক দেখানো ইবাদতকারীদের সম্পর্কে…

বিস্তারিত

মাহে রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত।

মাহে রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত।

মাহে রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ও মহত্ত্ব অপরিসীম। ছরকারে দু আলম দু জাহানের বাদশাহ সাইয়্যেদুল মুরসালিন খাতামান নাবীয়্যিন শাফিউল মুজনিবীন রাহমাতুল্লিল আলামিন হাবীবে খোদা হযরত মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর আগমন এই মাসে। যিনি বিশ্বনবী, শেষ নবী, যার শুভাগমনে ধন্য সমগ্র জগৎ, আলোকিত মক্কার মরুপ্রান্তর, যার কারণে চিরভাস্বর মদিনাতুল মুনাওয়ারাহ। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যাকে লক্ষ্য করে ইরশাদ করেছেন, সমগ্র জগৎবাসীর জন্য আপনাকে রহমত করেই প্রেরণ করেছি। ওই আয়াত প্রমাণ করছে রসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোটা সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত। আরও ইঙ্গিত বহন করছে আল্লাহ জগৎসমূহের…

বিস্তারিত

জিলহজ্জ মাসের ফজিলত ও ইবাদত। হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

জিলহজ্জ মাসের ফজিলত ও ইবাদত। হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী: জিল হজ্জ্ব, আরবি বার মাসের শেষ মাস এবং মসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফযিলতের মাস। বছরের বার মাসের মধ্যে নিষিদ্ধ মাস মুহাররম, রজব, জিলকদ ও জিলহজ্জ (অর্থাৎ এ মাসগুলোতে কোন প্রকার যুদ্ধ বিগ্রহ করা যাবে না)। রাসূল সা. এর জন্মের পূর্বে অর্থাৎ জাহেলিয়াতের সময়ও এ চার মাসকে নিষিদ্ধ মাস মানা হতো। তবে কিছু সময় সুবিধা অনুযায়ী এ মাসগুলোতে পরিবর্তন আনা হতো। এটা ছিল একান্তই গোষ্ঠী প্রধানদের ইচ্ছার বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দেয়ার নামে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত রাসূল সা. এর নবুওত প্রাপ্তির পরবর্তী সময় এ মাসগুলোকে আলাদা গুরুত্ত…

বিস্তারিত