দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় আরো ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৩ জনে। সোমবার (১৪ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ। ডা. অনুপ জানান, গত ৭ জুন ৩১ জনের নমুনা নিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়। ওই ৩১ জনের মধ্যে ৯ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে দোহারের ৩জন বাসিন্দা রয়েছে। তারা নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে পরীক্ষা করিয়েছিল। বাকিরা নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা, শোল্লা ও গালিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বিস্তারিতTag: দোহার ও নবাবগঞ্জ
- নামকরণ
নবাবগঞ্জের নামকরণ নিয়ে কোন লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায় না। তবে প্রচলিত জনশ্রুতি আছে – নবাবী আমলে নবাব ও তাদের অধীনস্থ কর্মচারী এবং সৈন্যরা মুর্শিদাবাদ থেকে নৌপথে নবাবগঞ্জের ইছামতি নদী হয়ে ঢাকা যাতায়াত করতো। তারা ইছামতি তীরবর্তী এই অঞ্চলে তাবু ফেলে বিশ্রাম নিত। এক সময়ে নবাবের কর্মচারীরা খাজনা আদায়ের স্বার্থে এই এলাকায় বসবাস করা আরম্ভ করে। এভাবে ধীরে ধীরে এই এলাকায় জনবসতি বাড়তে থাকে এবং শহর গড়ে ওঠে। ফলশ্রুতিতে নবাবী আমল থেকে এই এলাকাটি নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত হয়ে উঠে
শিক্ষার হার: গড় হার ৫৪.৪%; পুরুষ ৫৬.৪%, মহিলা ৫২.৬%।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কলেজ ৭, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৪, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০৯, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১৩, মাদ্রাসা ৪। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী কলেজ, শিকারীপাড়া (১৯৯৭), শিকারীপাড়া টি.কে.এম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩২), নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৫), বান্দুরা হলিক্রশ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৯১২), তাশুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়, চুড়াইন তারিনী বামা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৩), আগলা চৌকিঘাটা জনমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭০), মেলেং উচ্চ বিদ্যালয়, ডিগনারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোল্লা কান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিশাল এক ভাণ্ডার নবাবগঞ্জ উপজেলা। উনিশ শতকেও এখানে জমিদারদের বসতি ছিল। প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাসসমৃদ্ধ গ্রাম কলাকোপা-বান্দুরা একসময় ব্যবসা-বাণিজ্যের তীর্থস্থান ছিল। এছাড়াও এখানকার সোনাবাজু বেড়িবাঁধের প্রাকিতিক দৃশ্য রয়েছে চোখ জুড়ানোর মতো। যার প্রাণ ইছামতি নদী। এখানে দেখার অনেক কিছুই আছে। একদিকে স্নিগ্ধ অপরূপ প্রকৃতি অন্য দিকে নানা পুরাণ কাহিনী। কলাকোপার কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ির পাশে উকিল বাড়ি। তারপর জমিদার ব্রজেন সাহার ব্রজ নিকেতন (যা এখন জজ বাড়ি নাম ধারণ করেছে)। ব্যবসায়ী রাধানাথ সাহার বাড়ি। শ্রীযুক্ত বাবু লোকনাথ সাহার বাড়ি (যার খ্যাতি মঠবাড়ি বা তেলিবাড়ি নামে)। মধুবাবুর পাইন্না বাড়ি, পোদ্দার বাড়ি এবং কালি বাড়ি। এখানে আরও আছে খেলারাম দাতার বিগ্রহমন্দির, এর থেকে একটু সামনেই আদনান প্যালেস, মহামায়া দেবীর মন্দির। আর একটু দূরের হাসনাবাদে জপমালা রানীর গির্জা। বারুয়াখালীর জমিদার বাড়ি, মধ্য সোনাবাজু প্রিন্সিপাল বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দুরত্বের ভাঙ্গা নামক স্থানটি অত্যন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত, এছাড়াও শিকারীপাড়া ও জয়কৃষ্ণপুর এর ৩০০ বছরের পুড়নো জমিদার বাড়ি।
-
- সোনাবাজু বেড়িবাঁধঃ এই স্থানটি নবাবগঞ্জের সবচেয়ে পশ্চিমে অবস্থিত। নবাবগঞ্জ উপজেলার অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানটি হলো সোনাবাজু বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধের দু’ধারে সারি সারি গাছ থাকায় দেখতে বেশ চমৎকার। বর্ষায় এর সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এখানে রয়েছে স্লুইস গেইট, পানির উপরে ভাসমান রেস্টুরেন্ট। সব মিলিয়ে জায়গাটি বেশ সুন্দর। প্রকৃতি প্রেমিকদের কাছে খুব জনপ্রিয়।
- ঐতিহ্যবাহী জজ বাড়ি: এটি নবাবগঞ্জের কলাকোপা নামক স্থানে অবস্থিত। একটি সুন্দর বাগান ঘেরা এবং বিশালাকৃতির এই জমিদার বাড়িটি মূলত জজ বাড়ি নামে পরিচিত। বাড়ির পাশেই রয়েছে শান বাঁধানো পুকুর। রয়েছে পোষা হরিণের একটি খামার। বাগানের হাজারো রকমের ফুল আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে অনায়াসে। জমিদার বাড়িটি অতি প্রাচীন কালের ঐতিহ্যবাহী নকশায় তৈরি। যা আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেবে।
- কোকিলপেয়ারি জমিদার বাড়ি: এই জমিদার বাড়িটি জজ বাড়ির ঠিক পাশেই অবস্থিত। বলা যেতে পারে এটি জজ বাড়ির ওল্ড ভারসন। জজ বাড়ি বিভিন্ন সময়ে সংস্কার করা হলেও এটি রয়ে গেছে সেই আগে যেমনটি ছিল। এই জমিদার বাড়িতেও রয়েছে শত শত দৃষ্টিনন্দন ফুলের গাছ আর বাড়ির ঠিক সামনে রয়েছে বিশালাকৃতির স্বচ্ছ পানির পুকুর। রয়েছে বিশালাকৃতির পুকুর ঘাট।
- বৌদ্ধ মন্দির: এই বৌদ্ধ মন্দিরটি কোকিল প্যারি জমিদার বাড়ির ঠিক বাইরে অবস্থিত। মন্দিরটির ভেতরে একটি ভাঙা মূর্তি আছে। কথিত আছে ১৯৭১ সালে পাক বাহিনী এই মূর্তিটি ভেঙে রেখে গিয়েছিল।
- খেলারাম দাতার মন্দির
- খেলারামদার বাড়ি(আন্ধার কোঠা): এটি এক সময় সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। কিন্তু সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি এখন প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। এখনো মাটির উপর দুইতলা একটি জড়াজীর্ণ ভবন দেখতে পাবেন। কথিত আছে এই পাঁচতলা ভবনটি এক রাতে তিনতলা পর্যন্ত মাটির নিচে চলে গিয়েছিল। ভবনটির উপরের তলাতে একটি বড় চৌবাচ্চা আছে। কথিত আছে জমিদার খেলারামদা এর মা একদিন তার সন্তানের কাছে দুধ খেতে চাইলে তিনি তার মায়ের জন্য এই চৌবাচ্চা বানানোর নির্দেশ দেন। পরে সেই বিরাট চৌবাচ্চায় দুধ এবং কলা দিয়ে পূর্ণ করে তার মাকে সেই চৌবাচ্চায় নামিয়ে দেন। তার মা সাতার কেঁটে কেঁটে মনের সাধ মিটিয়ে দুধ পান করেছিলেন। এই বাড়িটির পাশেও একটি বিরাট পুকুর আছে। কথিত আছে এই পুকুরের পাশে এসে কেউ কিছু চাইলে তার পর দিন তাই মিলে যেত।
- আদনান প্যালেস:এই এলাকার অন্যতম আকর্ষণ আদনান প্যালেস। এটি বৃটিশ আমলের একটি জমিদার বাড়ি। এর কারুকাজ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। বাড়িটির সামনে দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে ইছামতি নদী।
- কলাকোপা আনসার ক্যাম্প: জজ বাড়ির কাছেই কলাকোপা আনসার ক্যাম্প অবস্থিত। এটিও একটি দৃষ্টিনন্দন স্থান। ছায়া সুনিবিড় সুন্দর একটি পরিবেশ। পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আনসারদের বসবাসের জন্য অনেক বড় একটি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই নয়নাভিরাম ক্যাম্পটি। বেশ কয়েকটি পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ভবন রয়েছে ক্যাম্পটিতে।
- ইছামতি নদী: এই নদীটিকে ঘিরে সেই আগের মত প্রাণ চাঞ্চল্য না থাকলেও সূর্যাস্তের সময় আপনি মুগ্ধ হয়ে এর রূপ অবলোকন করতে সক্ষম হবেন।
- শাহী ভাঙা মসজিদ: কথিত আছে এই মসজিদটি এক রাতে গায়েবীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল। যে রাতে এটি সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন ভোরে কোনো এক লোক এই মসজিদটি প্রথম আবিষ্কার করেন। কিন্তু তখন পর্যন্ত এটি সম্পূর্ণ সৃষ্টি হতে পারেনি। মানুষের চোখে পড়ে যাওয়ায় এটি সেরকম অসম্পূর্ণই থেকে যায়। এর একটি অংশ ভাঙা থাকার কারণে এটি ভাঙা মসজিদ নামেই পরিচিত।
- সাত মাথার মূর্তি: এটি মাঝির কান্দা নামক স্থানের অদূরে অবস্থিত। একটি বিরাট বটগাছের নিচে এই মুর্তিটি নির্মাণ করা করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। প্রতি বছর এই মূর্তিকে ঘিরে পূজা এবং মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
- জপমালা রানীর গীর্জা: ১৭৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গীর্জাটি অনেক বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে। গির্জার ভেতরের দিকটা বেশি আকর্ষণীয় এবং সামনে একটি বিশাল খোলা মাঠ এর সৌন্দর্য হাজারগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গির্জাটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কিছু খ্রিস্টান মিশনারী ক্যাম্প। এটি হাসনাবাদ নামক এলাকায় অবস্থিত।
এছাড়াও রয়েছে-
- আফাজউদ্দিন শাহ্ এর মাজার,গালিমপুর।
- মহাকবি কায়কোবাদের জন্মস্থান,আগলা।
- রওশন গার্ডেন →কৈলাইল।
- মোল্লাকান্দা সরকারি পুকুর প্রজেক্ট, রায়পুর, মোল্লাকান্দা।
- ওয়ান্ডারেলা গ্রীন পার্ক, কলাকোপা, ইত্যাদি।
দোহারে করোনা উপসর্গে যুবকের মৃত্যু, দাফন করলো ইসলামী আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবী দল
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি ঢাকার দোহার উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মো. তরিকুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে জানাযা শেষে দাফন কাফন করে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ দোহার শাখার স্বেচ্ছাসেবক দল। মৃত মো. তরিকুল ইসলাম উপজেলার সুতারপাড়া গ্রামের মরহুম সিরাজুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে যায়, তরিকুল ইসলাম ১০-১২ দিন ধরে সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরিবারকে না জানিয়ে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার পরিবারের সদস্যরা জানতে পেয়ে অন্যথায় চলে যায়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি…
বিস্তারিতদোহারে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৮ জনকে অর্থদণ্ড
ঢাকার দোহার উপজেলায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ৮ জনকে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। রোববার দোহার উপজেলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্য বিধি মানতে মোবাইল কোর্ট ও জনসচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময়ে সামাজিক দূরত্ব ও নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ৮ জনকে অর্থদণ্ড প্রদান-সহ ভবিষ্যতে এ অপরাধ অার না করার জন্য সতর্ক করেন।
বিস্তারিতনবাবগঞ্জে সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলা; আহত অন্তত ১৫
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি. ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ঘুরি উড়ানো নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের স্বশস্ত্র হামলায় অন্তত ১৫জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। পরে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুদের মারধর, আসবাবপত্র ভাংচুর, লুটপাটেরও অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনাটি রোববার দুপুরে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ২৯ মে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাহুতহাটি চকে শখ করে ঘুরি উড়াচ্ছিলেন গ্রামের বয়োজেষ্ঠ্য আলতাফ মিয়া। একই সময়ে বান্দুরা সান্দার পাড়ার আরিফসহ কয়েকজন উৎশৃঙ্খল যুবক এসে পাশের ভিটায় ঘুরি উড়াচ্ছিল। যুবকরা…
বিস্তারিতনবাবগঞ্জে একই পরিবারের ১১জনসহ নতুন ৮৯জন আক্রান্ত
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি. ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৮৯ নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বান্দুরা ইউনিয়নে একই পরিবারে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। এর ফলে নবাবগঞ্জে মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫২ জন। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ রোববার সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে ও পরে মোট ১৯৫ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হলে শনিবার রাতে ৮৯ জনের পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জে এ পর্যন্ত শনাক্ত ১৫২ জন শনাক্ত হলো। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন। এছাড়া গত ২৮ মে উপজেলার নতুন…
বিস্তারিতদোহারে দুই দোকানে আগুন, প্রায়-১০ লক্ষ্য টাকার ক্ষয়ক্ষতি
মহিউল ইসলাম পলাশ দোহার(ঢাকা)প্রতিনিধি: দোহার উপজেলার কার্তিকপুর বাজারে শটসার্কিটের কারনে দুই দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।এতে দোকান মালিকদের দাবী অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় দশ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলি হল কুসুমহাটি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কার্তিকপুর বাজারের নাঈম সু ষ্টোর ও ঈমাম ক্লথ ষ্টোর। জানা যায়,শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার কার্তিকপুর বাজারের নাঈম সু ষ্টোর ও ঈমাম ক্লথ ষ্টোরে আগুনের সুত্রপাত দেখে ব্যবসায়ীরা দোকানের তালা ভেঙ্গে আগুন নিভাতে চেষ্ঠা করে।এ সময়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আমজাদ হোসেনের বুদ্ধিমত্তায় বিষয়টি তাৎক্ষনিক দোহার ফায়ার সার্ভিসকে জানালে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রæত ঘটনাস্থলে এসে…
বিস্তারিতদোহারে জিকির করা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ
মহিউল ইসলাম পলাশ দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের রাধানগর খাজার হাট-বাজার সংলগ্ন শিকদার বাড়ির জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম মো. নূর হোসেনের সাথে মুসল্লী আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মনির মোল্লার জিকির করা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। সেই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে মনির মোল্লা কে মারধর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে বলে অভিযোগ উঠেছে ঐ মসজিদের মোয়াজ্জেম মো. নূর হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি মনির মোল্লার মাথায় দেয়া নবীর সুন্নাত টুপি খুলে নিয়ে তার পুরুষ অঙ্গে ও বায়ু পথে ঘষে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয় বলে জানা যায়। এনিয়ে খোব্ধ এলাকাবাসী। (২৯ মে) শুক্রবার সরেজমিনে…
বিস্তারিতনবাবগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গৌরাঙ্গ বণিক নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু
ঢাকার নবাবগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গৌরাঙ্গ বণিক নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার (২৮) মে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়৷ বিষয়টি বৃহস্পতিবার দুপুর ২:৪০ মিনিটে নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হরগোবিন্দ সরকার অনুপ। তিনি জানান, গৌরাঙ্গ বণিকের স্ত্রী এবং তার ছোট ভাইও করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন৷ উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে নতুন বান্দুরা এলাকায় ১৮ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়৷ আক্রান্তদের মধ্যে গৌরাঙ্গও ছিলেন৷ চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়৷
বিস্তারিতবারুয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০০৫ এর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে কর্মজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। এই দুর্দিনে সরকারি সহায়তা ছাড়াও বিত্তবানরাও অসহায় ও কর্মহীন পরিবারের খাদ্য সহায়তা নিয়ে পাশে দাড়িয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ‘বন্ধুত্বের বন্ধন চিরদিন, আনন্দে কাটুক ঈদের দিন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০০৫ এর উদ্যোগে ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ২৩ মে শনিবার সকালে উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের ৬০টি পরিবারের মাঝে ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে প্রত্যেক পরিবারের জন্য ছিল চাল,পোলাওয়ের…
বিস্তারিতনবাবগঞ্জের করোনা পরিস্থিতি পরিদর্শনে অতিরিক্ত-সচিব
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি. ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার করোনা পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য সচেতনতা, ত্রাণ পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগের অতিরিক্ত-সচিব মো. শাখাওয়াত হোসেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাগরিক সুবিধা ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতির প্রয়োজনীয়তা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি নবাবগঞ্জ কল্যান সমিতির উদ্যোগে উপজেলা ভুমি অফিসের সামনে সরকারি বরাদ্ব, ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশন ও নবাবগঞ্জ কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে কর্মহীন ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ…
বিস্তারিত