মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার চাইতে গিয়ে ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে রাজপথ, সেই বেদনাকে ধারণ করে মহান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে একুশের প্রথম প্রহরে থেকেই জনতার ঢল নামে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। কণ্ঠে সবার চির অম্লান সেই গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি’। মুখে একুশের আলপনা, মাথায় বাংলাদেশের পতাকা, বুকে কালো ব্যাজ, হাতে ফুল। ভাষা শহীদদের প্রতি হৃদয় নিঙরানো ভালোবাসা ও পরম মমতায় নিবেদিত শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে বর্ণিল হয়ে উঠে ঢাকার নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। এসময় উপজেলা প্রশাসন ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ, নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাব…
বিস্তারিতTag: নবাবগঞ্জ
নবাবগঞ্জ | নবাবগঞ্জ উপজেলা, ঢাকা | দৈনিক আগামীর সময় | Agamirsomoy.com | বাংলা সংবাদপত্র
নবাবগঞ্জের খবর | Nawabganj News | প্রথম আলো – Prothom Alo
ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিশাল এক ভাণ্ডার নবাবগঞ্জ উপজেলা। উনিশ শতকেও এখানে জমিদারদের বসতি ছিল। প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাসসমৃদ্ধ গ্রাম কলাকোপা-বান্দুরা একসময় ব্যবসা-বাণিজ্যের তীর্থস্থান ছিল। এছাড়াও এখানকার সোনাবাজু বেড়িবাঁধের প্রাকিতিক দৃশ্য রয়েছে চোখ জুড়ানোর মতো। যার প্রাণ ইছামতি নদী। এখানে দেখার অনেক কিছুই আছে। একদিকে স্নিগ্ধ অপরূপ প্রকৃতি অন্য দিকে নানা পুরাণ কাহিনী। কলাকোপার কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ির পাশে উকিল বাড়ি। তারপর জমিদার ব্রজেন সাহার ব্রজ নিকেতন (যা এখন জজ বাড়ি নাম ধারণ করেছে)। ব্যবসায়ী রাধানাথ সাহার বাড়ি। শ্রীযুক্ত বাবু লোকনাথ সাহার বাড়ি (যার খ্যাতি মঠবাড়ি বা তেলিবাড়ি নামে)। মধুবাবুর পাইন্না বাড়ি, পোদ্দার বাড়ি এবং কালি বাড়ি। এখানে আরও আছে খেলারাম দাতার বিগ্রহমন্দির, এর থেকে একটু সামনেই আদনান প্যালেস, মহামায়া দেবীর মন্দির। আর একটু দূরের হাসনাবাদে জপমালা রানীর গির্জা। বারুয়াখালীর জমিদার বাড়ি, মধ্য সোনাবাজু প্রিন্সিপাল বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দুরত্বের ভাঙ্গা নামক স্থানটি অত্যন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত, এছাড়াও শিকারীপাড়া ও জয়কৃষ্ণপুর এর ৩০০ বছরের পুড়নো জমিদার বাড়ি।
-
- সোনাবাজু বেড়িবাঁধঃ এই স্থানটি নবাবগঞ্জের সবচেয়ে পশ্চিমে অবস্থিত। নবাবগঞ্জ উপজেলার অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানটি হলো সোনাবাজু বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধের দু’ধারে সারি সারি গাছ থাকায় দেখতে বেশ চমৎকার। বর্ষায় এর সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এখানে রয়েছে স্লুইস গেইট, পানির উপরে ভাসমান রেস্টুরেন্ট। সব মিলিয়ে জায়গাটি বেশ সুন্দর। প্রকৃতি প্রেমিকদের কাছে খুব জনপ্রিয়।
- ঐতিহ্যবাহী জজ বাড়ি: এটি নবাবগঞ্জের কলাকোপা নামক স্থানে অবস্থিত। একটি সুন্দর বাগান ঘেরা এবং বিশালাকৃতির এই জমিদার বাড়িটি মূলত জজ বাড়ি নামে পরিচিত। বাড়ির পাশেই রয়েছে শান বাঁধানো পুকুর। রয়েছে পোষা হরিণের একটি খামার। বাগানের হাজারো রকমের ফুল আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে অনায়াসে। জমিদার বাড়িটি অতি প্রাচীন কালের ঐতিহ্যবাহী নকশায় তৈরি। যা আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেবে।
- কোকিলপেয়ারি জমিদার বাড়ি: এই জমিদার বাড়িটি জজ বাড়ির ঠিক পাশেই অবস্থিত। বলা যেতে পারে এটি জজ বাড়ির ওল্ড ভারসন। জজ বাড়ি বিভিন্ন সময়ে সংস্কার করা হলেও এটি রয়ে গেছে সেই আগে যেমনটি ছিল। এই জমিদার বাড়িতেও রয়েছে শত শত দৃষ্টিনন্দন ফুলের গাছ আর বাড়ির ঠিক সামনে রয়েছে বিশালাকৃতির স্বচ্ছ পানির পুকুর। রয়েছে বিশালাকৃতির পুকুর ঘাট।
- বৌদ্ধ মন্দির: এই বৌদ্ধ মন্দিরটি কোকিল প্যারি জমিদার বাড়ির ঠিক বাইরে অবস্থিত। মন্দিরটির ভেতরে একটি ভাঙা মূর্তি আছে। কথিত আছে ১৯৭১ সালে পাক বাহিনী এই মূর্তিটি ভেঙে রেখে গিয়েছিল।
- খেলারাম দাতার মন্দির
- খেলারামদার বাড়ি(আন্ধার কোঠা): এটি এক সময় সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। কিন্তু সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি এখন প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। এখনো মাটির উপর দুইতলা একটি জড়াজীর্ণ ভবন দেখতে পাবেন। কথিত আছে এই পাঁচতলা ভবনটি এক রাতে তিনতলা পর্যন্ত মাটির নিচে চলে গিয়েছিল। ভবনটির উপরের তলাতে একটি বড় চৌবাচ্চা আছে। কথিত আছে জমিদার খেলারামদা এর মা একদিন তার সন্তানের কাছে দুধ খেতে চাইলে তিনি তার মায়ের জন্য এই চৌবাচ্চা বানানোর নির্দেশ দেন। পরে সেই বিরাট চৌবাচ্চায় দুধ এবং কলা দিয়ে পূর্ণ করে তার মাকে সেই চৌবাচ্চায় নামিয়ে দেন। তার মা সাতার কেঁটে কেঁটে মনের সাধ মিটিয়ে দুধ পান করেছিলেন। এই বাড়িটির পাশেও একটি বিরাট পুকুর আছে। কথিত আছে এই পুকুরের পাশে এসে কেউ কিছু চাইলে তার পর দিন তাই মিলে যেত।
- আদনান প্যালেস:এই এলাকার অন্যতম আকর্ষণ আদনান প্যালেস। এটি বৃটিশ আমলের একটি জমিদার বাড়ি। এর কারুকাজ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। বাড়িটির সামনে দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে ইছামতি নদী।
- কলাকোপা আনসার ক্যাম্প: জজ বাড়ির কাছেই কলাকোপা আনসার ক্যাম্প অবস্থিত। এটিও একটি দৃষ্টিনন্দন স্থান। ছায়া সুনিবিড় সুন্দর একটি পরিবেশ। পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আনসারদের বসবাসের জন্য অনেক বড় একটি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই নয়নাভিরাম ক্যাম্পটি। বেশ কয়েকটি পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ভবন রয়েছে ক্যাম্পটিতে।
- ইছামতি নদী: এই নদীটিকে ঘিরে সেই আগের মত প্রাণ চাঞ্চল্য না থাকলেও সূর্যাস্তের সময় আপনি মুগ্ধ হয়ে এর রূপ অবলোকন করতে সক্ষম হবেন।
- শাহী ভাঙা মসজিদ: কথিত আছে এই মসজিদটি এক রাতে গায়েবীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল। যে রাতে এটি সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন ভোরে কোনো এক লোক এই মসজিদটি প্রথম আবিষ্কার করেন। কিন্তু তখন পর্যন্ত এটি সম্পূর্ণ সৃষ্টি হতে পারেনি। মানুষের চোখে পড়ে যাওয়ায় এটি সেরকম অসম্পূর্ণই থেকে যায়। এর একটি অংশ ভাঙা থাকার কারণে এটি ভাঙা মসজিদ নামেই পরিচিত।
- সাত মাথার মূর্তি: এটি মাঝির কান্দা নামক স্থানের অদূরে অবস্থিত। একটি বিরাট বটগাছের নিচে এই মুর্তিটি নির্মাণ করা করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। প্রতি বছর এই মূর্তিকে ঘিরে পূজা এবং মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
- জপমালা রানীর গীর্জা: ১৭৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গীর্জাটি অনেক বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে। গির্জার ভেতরের দিকটা বেশি আকর্ষণীয় এবং সামনে একটি বিশাল খোলা মাঠ এর সৌন্দর্য হাজারগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গির্জাটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কিছু খ্রিস্টান মিশনারী ক্যাম্প। এটি হাসনাবাদ নামক এলাকায় অবস্থিত।
এছাড়াও রয়েছে-
- আফাজউদ্দিন শাহ্ এর মাজার,গালিমপুর।
- মহাকবি কায়কোবাদের জন্মস্থান,আগলা।
- রওশন গার্ডেন →কৈলাইল।
- মোল্লাকান্দা সরকারি পুকুর প্রজেক্ট, রায়পুর, মোল্লাকান্দা।
- ওয়ান্ডারেলা গ্রীন পার্ক, কলাকোপা, ইত্যাদি।
- নামকরণ
নবাবগঞ্জের নামকরণ নিয়ে কোন লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায় না। তবে প্রচলিত জনশ্রুতি আছে – নবাবী আমলে নবাব ও তাদের অধীনস্থ কর্মচারী এবং সৈন্যরা মুর্শিদাবাদ থেকে নৌপথে নবাবগঞ্জের ইছামতি নদী হয়ে ঢাকা যাতায়াত করতো। তারা ইছামতি তীরবর্তী এই অঞ্চলে তাবু ফেলে বিশ্রাম নিত। এক সময়ে নবাবের কর্মচারীরা খাজনা আদায়ের স্বার্থে এই এলাকায় বসবাস করা আরম্ভ করে। এভাবে ধীরে ধীরে এই এলাকায় জনবসতি বাড়তে থাকে এবং শহর গড়ে ওঠে। ফলশ্রুতিতে নবাবী আমল থেকে এই এলাকাটি নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত হয়ে উঠে।
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নগর দোহার-নবাবগঞ্জ
শহুরে জীবনের যান্ত্রিকতা ছেড়ে অনেকেই প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে চান সতেজতা অনুভব করতে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকে সময় স্বল্পতার কারণে বেড়ানোর কথা ভাবতেই পারেন না। তবে রাজধানীর কাছাকাছি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত কোনো স্থান থাকলে স্বল্প সময়ে বেড়িয়ে আসতে পারেব।
রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র দেড় ঘন্টা পথের দূরত্বে রয়েছে এমনি একটি স্থান। মাত্র একদিনে সুন্দর ও আনন্দময় ভ্রমণের জন্য স্থানটি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে।
বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে চাইলে চলে আসুন রাজধানীর একেবারে পাশের উপজেলা নবাবগঞ্জে। ২৪৪ দশমিক ৮০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলার উত্তরে সিঙ্গাইর উপজেলা। দক্ষিণে দোহার উপজেলা। পূর্বে কেরানীগঞ্জ, সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলা। পশ্চিমে হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা।
প্রথমে আপনাকে আসতে হবে কলাকোপায়। নদী আর স্থাপনার সমন্বয় কলাকোপার মূল বৈশিষ্ট্য।
ঢাকার খুব কাছেই দোহারের একটি গ্রাম কলাকোপা। পাশের গ্রাম বান্দুরা। ঢাকা মহানগর থেকে দেড় ঘন্টার পথ। বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু পার হয়ে কেরানীগঞ্জের উপর দিয়ে কায়কোবাদ সেতু টপকে রাস্তার দুপাশের সবুজ উপভোগ করতে করতে ইতিহাস সমৃদ্ধ এই প্রাচীন নগরে পৌঁছে যাওয়া যাবে।
শুরুতেই বলে রাখি; এখানে বেশ কয়েকটি স্পট রয়েছে ঘুরে দেখার জন্য। তাই দিনে দিনে সবগুলো স্পট দেখতে চাইলে আপনাকে খুব সকালেই রওনা দিতে হবে। গুলিস্তান থেকে দোহার-নবাবগঞ্জগামী বাসে মাত্র ৭০ টাকা দিয়ে বসে পড়ুন। বাসে উঠে হেলপারকে বলবেন- জজ বাড়ির সামনে নামিয়ে দিতে।
ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিশাল এক ভাণ্ডার কলাকোপা-বান্দুরা। উনিশ শতকেও এখানে জমিদারদের বসতি ছিল। প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাসসমৃদ্ধ গ্রাম কলাকোপা-বান্দুরা একসময় ব্যবসা-বাণিজ্যের তীর্থস্থান ছিল। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য চোখ জুড়ানো। যার প্রাণ ইছামতি নদী। এখানে দেখার অনেক কিছুই আছে। একদিকে স্নিগ্ধ অপরূপ প্রকৃতি অন্য দিকে নানা পুরাণ কাহিনী।
কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ির পাশে উকিল বাড়ি। তারপর জমিদার ব্রজেন সাহার ব্রজ নিকেতন (যা এখন জজ বাড়ি নাম ধারণ করেছে)। ব্যবসায়ী রাধানাথ সাহার বাড়ি। শ্রীযুক্ত বাবু লোকনাথ সাহার বাড়ি (যার খ্যাতি মঠবাড়ি বা তেলিবাড়ি নামে)। মধুবাবুর পাইন্না বাড়ি, পোদ্দার বাড়ি এবং কালি বাড়ি। এখানে আরও আছে খেলারাম দাতার বিগ্রহমন্দির, মহামায়া দেবীর মন্দির। আর একটু দূরের হাসনাবাদে জপমালা রানীর গির্জা।
ঐতিহ্যবাহী জজ বাড়ি :
এটি নবাবগঞ্জের কলাকোপা নামক স্থানে অবস্থিত। একটি সুন্দর বাগান ঘেরা এবং বিশালাকৃতির এই জমিদার বাড়িটি মূলত জজ বাড়ি নামে পরিচিত। বাড়ির পাশেই রয়েছে শান বাঁধানো পুকুর। রয়েছে পোষা হরিণের একটি খামার। বাগানের হাজারো রকমের ফুল আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে অনায়াসে। জমিদার বাড়িটি অতি প্রাচীন কালের ঐতিহ্যবাহী নকশায় তৈরি। যা আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিবে।
কোকিল প্যারি জমিদার বাড়ি :
এই জমিদার বাড়িটি জজ বাড়ির ঠিক পাশেই অবস্থিত। বলা যেতে পারে এটি জজ বাড়ির ওল্ড ভারসন। জজ বাড়ি বিভিন্ন সময়ে সংস্কার করা হলেও এটি রয়ে গেছে সেই আগে যেমনটি ছিল। এই জমিদার বাড়িতেও রয়েছে শত শত দৃষ্টিনন্দন ফুলের গাছ আর বাড়ির ঠিক সামনে রয়েছে বিশালাকৃতির স্বচ্ছ পানির পুকুর। রয়েছে বিশালাকৃতির পুকুর ঘাট।
বৌদ্ধ মন্দির :
এই বৌদ্ধ মন্দিরটি কোকিল প্যারি জমিদার বাড়ির ঠিক বাইরে অবস্থিত। মন্দিরটির ভেতরে একটি ভাঙা মুর্তি আছে। কথিত আছে ১৯৭১ সালে পাক বাহিনী এই মুর্তিটি ভেঙে রেখে গিয়েছিল।
খেলালামদার বাড়ি (আন্ধার কোঠা) :
এটি এক সময় সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। কিন্তু সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি এখন প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। এখনো মাটির উপর দুইতলা একটি জড়াজীর্ণ ভবন দেখতে পাবেন। কথিত আছে এই পাঁচতলা ভবনটি এক রাতে তিনতলা পর্যন্ত মাটির নিচে চলে গিয়েছিল। ভবনটির উপরের তলাতে একটি বড় চৌবাচ্চা আছে। কথিত আছে জমিদার খেলালামদা এর মা একদিন তার সন্তানের কাছে দুধ খেতে চাইলে তিনি তার মায়ের জন্য এই চৌবাচ্চা বানানোর নির্দেশ দেন। পরে সেই বিরাট চৌবাচ্চায় দুধ এবং কলা দিয়ে পূর্ণ করে তার মাকে সেই চৌবাচ্চায় নামিয়ে দেন। তার মা সাতার কেঁটে কেঁটে মনের সাধ মিটিয়ে দুধ পান করেছিলেন। এই বাড়িটির পাশেও একটি বিরাট পুকুর আছে। কথিত আছে এই পুকুরের পাশে এসে কেউ কিছু চাইলে তার পর দিন তাই মিলে যেত।
কলাকোপা আনসার ক্যাম্প :
জজ বাড়ির কাছেই কলাকোপা আনসার ক্যাম্প অবস্থিত। এটিও একটি দৃষ্টিনন্দন স্থান। ছায়া সুনিবিড় সুন্দর একটি পরিবেশ। পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আনসারদের বসবাসের জন্য অনেক বড় একটি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই নয়নাভিরাম ক্যাম্পটি। এখানে বেশ কয়েকটি পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ভবন রয়েছে।
ইছামতি নদী :
এই নদীটিকে ঘিরে সেই আগের মত প্রাণ চাঞ্চল্য না থাকলেও সূর্যাস্তের সময় আপনি মুগ্ধ হয়ে এর রূপ অবলোকন করতে সক্ষম হবেন।
ভাঙা মসজিদ :
কথিত আছে এই মসজিদটি এক রাতে গায়েবীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল। যে রাতে এটি সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন ভোরে কোনো এক লোক এই মসজিদটি প্রথম আবিষ্কার করেন। কিন্তু তখন পর্যন্ত এটি সম্পূর্ণ সৃষ্টি হতে পারেনি। মানুষের চোখে পড়ে যাওয়ায় এটি সেরকম অসম্পূর্ণই থেকে যায়। এর একটি অংশ ভাঙা থাকার কারণে এটি ভাঙা মসজিদ নামেই পরিচিত।
সাত মাথার মূর্তি :
এটি মাঝির কান্দা নামক স্থানের অদূরে অবস্থিত। একটি বিরাট বটগাছের নিচে এই মুর্তিটি নির্মাণ করা করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। প্রতি বছর এই মূর্তিকে ঘিরে পূজা এবং মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
বান্দুরা গির্জা :
অনেক বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই গির্জাটি। গির্জার ভেতরের দিকটা বেশি আকর্ষণীয় এবং সামনে একটি বিশাল খোলা মাঠের সৌন্দর্য হাজারগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গির্জাটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কিছু খ্রিস্টান মিশনারী ক্যাম্প।
নবাবগঞ্জে স্কুল ও মাদ্রাসার শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৫২তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীতকালীন (জোনাল) ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দিনব্যাপি সরকারি নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলা স্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি এর আয়োজন করে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহেল এতে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নবাবগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.…
বিস্তারিতনবাবগঞ্জে বেপরোয়া মটর সাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু
ঢাকার নবাবগঞ্জে নিয়ন্ত্রনহীন যুবকের বেপরোয়া মটর সাইকেলের ধাক্কায় শেখ লাল মিয়া (৬৫) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে মাঝিরকান্দা-জয়পাড়া আন্ত:সড়কের চালনাই চকের এবিসি ইটভাটার সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ লাল মিয়া মহব্বতপুর গ্রামের চালনাই চক এলাকার শেখ আব্দুল হকের ছেলে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রেজিস্টার সূত্রে প্রাপ্ত, এঘটনায় মটর সাইকেলে থাকা দুই যুবক হলেন যন্ত্রাইল গ্রামের ইছহাক মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম (১৮), একই গ্রামের পাভেলের ছেলে নোলক (১৮)। তবে কি কাজে তারা যন্ত্রাইল থেকে চালনাই চকে মটর সাইকেল চালাতে গিয়ে গিয়েছিল জানা যায়নি। নিহতের বড় মেয়ের জামাতা…
বিস্তারিতনবাবগঞ্জে দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতা সভা
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে দেড়টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভা কক্ষে এ সভায় চিকিৎসক, সাংবাদিক, সুশিল সমাজ, ক্লিনিক মালিক, পল্লী চিকিৎসক, এনজিও কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মী, রোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, দুর্নীতি হলো উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা। সমাজের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতির শিকর ছড়িয়ে পড়েছে। তাই প্রথমে নিজের আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। বক্তারা, দুর্নীতি প্রতিরোধে নিজ নিজ অবস্থানের মতামত তুলে ধরেন। সেই সাথে দুর্নীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে আনার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো.…
বিস্তারিতনবাবগঞ্জে বালুভর্তি ট্রাক চাপায় পথচারীর নিহত
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চালনাই চক এলাকায় একটি বালুভর্তি ট্রাক চাপায় মো. বাদশা মিয়া (৬৭) নামের এক পথচারীর নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাদশা মিয়া উপজেলার রাইপাড়া ইউনিয়নের পোদ্দারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি একজন চা বিক্রেতা ছিলেন বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টায় দিকে দোহার থেকে বালুভর্তি ২টি ট্রাক তীব্রগতিতে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করতে করতে রাস্তা দিয়ে চলছিল। এমন সময় দোহার প্রান্তের শেষ সীমানায় চালনাই চক এলাকায় এসে ওভারটেক করার মুহূর্তে গাড়ি রাস্তার পাশে একটি দোকান ও কারেন্টের পিলার আঘাত করে…
বিস্তারিতনবাবগঞ্জে এশিয়ান টেলিভিশনের ১১তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
‘এগারো পেরিয়ে বারোতে পদার্পণ, সবার সাথে এশিয়ান টেলিভিশন’ এই স্লোগানে ঢাকার নবাবগঞ্জে দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন এশিয়ান টিভির ১১তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় উপজেলা প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন চ্যানেলটির স্থানীয় প্রতিনিধি মো. ফিরোজ হোসাইন। শুরুতেই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি শাহিদুল হক খান ডাবলু, মোহনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি খালিদ হোসেন সুমন, বাংলা নিউজের সালাউদ্দিন বাচ্চু, দৈনিক বণিক বার্তার প্রতিনিধি সাদের হোসেন বুলু, দৈনিক সময়ের আলোর প্রতিনিধি বিপ্লব ঘোষ, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি শাহিনুর রহমান তুতি,…
বিস্তারিতনবাবগঞ্জের পঞ্চগ্রাম দুর্গা মন্দির কমিটির উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ঔষধ বিতরণ
ঢাকার নবাবগঞ্জের পঞ্চগ্রাম দুর্গা মন্দির কমিটির উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা থেকে উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের নলগোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এ সেবা প্রদান করা হয়। রাত ৭টা পর্যন্ত এলাকার শতাধিক রোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ ব্যবস্থাপত্র ও ঔষধ বিতরণ করা হয়ে। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে সহযোগীতা করেন, যন্ত্রাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিরণ চন্দ্র বৈদ্য, পঞ্চগ্রাম দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি দিলিপ কুমার বৈদ্য, সাধারণ সম্পাদক…
বিস্তারিতনবাবগঞ্জে চোরাই গরু উদ্ধার, গ্রেফতার-১
ঢাকার নবাবগঞ্জে একটি চোরাই গরু উদ্ধারসহ নাইম হাসান (২৮) নামের একজন গরু চোরকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দোহার সার্কেল এর সিনিয়র এএসপি মো. আশরাফুল আলম এ তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃত নাইম কেরাণীগঞ্জের বলসুতা এলাকার মো. আজাহার এর পুত্র। প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের দড়িকান্দা এলাকার নূর-মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির বসতবাড়ি থেকে গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে একটি লাল রংয়ের ষাঁড় চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। পরে এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় নূর-মোহাম্মদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চোরদের…
বিস্তারিতনবাবগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার গোডাউনে অভিযান; ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করে বাজারে কৃত্তিম সংকট তৈরী করে বেশী দামে বিক্রির অভিযোগে মেসার্স তাসনীম ট্রেডার্স নামের প্রতিষ্ঠান মালিকের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকালে অভিযান পরিচালনা করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মতিউর রহমান। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, রান্না করা গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করে বেশী দামে বিক্রি করে আসছিলো উপজেলার আগলা বাজার এলাকার মেসার্স তাসনীম ট্রেডার্স নামের প্রতিঠানটি। রোববার দুপুরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত ব্যবসায়ী আলী হোসেন ঝিলুকে নগদ ৫০ হাজার টাকা…
বিস্তারিতনবাবগঞ্জ উপজেলায় আলোচনা সভা ও ইমাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং সামাজিক সমস্যা নিরসনে আলোচনা সভা ও ইমাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টায় উপজেলার আব্দুল ওয়াসেক মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান করা হয়। ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এর আয়োজন করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক একেএম ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান। ফিল্ড সুপারভাইজার রফিকুল ইসলাম সহ ১৪টি ইউনিয়নের সুপারভাইজার ও ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিস্তারিত