ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেমের কারণে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যার চেষ্টা!

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেমের কারণে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যার চেষ্টা!

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের এইচ,এস,সি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র প্রবিত্র আত্নহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছেlসে উপজেলার লাহিড়ী বাজারের সুরেশের ছেলেl

প্রত্যক্ষদর্শীর(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)সূত্রে জানাযায়,মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে একি এলাকার কার্তিকের মেয়ে প্রিতি(ছদ্মনাম)এর সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতে থাকা কিটনাশক পান করে ও শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়lস্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়,সেখান থেকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেlঅবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেনl

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেমের কারণে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যার চেষ্টা!

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে প্রবিত্র(১৮)ও প্রিতি(১৮) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে একই শ্রেণীতে পড়ালিখা করতlক্লাস সেভেনে পড়ার সময় উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেlএস,এস,সি পাশ করে প্রবিত্র রংপুর পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হয়lকিছুদিন না যেতেই প্রেমের টানে সে এলাকার আকবর আলী কলেজে ভর্তি হয়lপ্রিতি উপজেলার সমিরউদ্দিন কলেজের একই শ্রেণীর ছাত্রীlমাস খানেক আগে প্রিতির বাবা কার্তিক মেয়ের এই সম্পর্ককে মেনে নিতে না পেরে অন্যত্র বিয়ের চেষ্টা চালায়lএতে প্রবিত্র ও প্রিতির সম্পর্কে শুরু হয় টানাপোড়নlপ্রিতি ও এক পর্যায়ে বাবার কথায় সায় দেয়lএবং প্রবিত্রর সাথে সম্পর্ক নষ্ট করেlসর্বশেষ মঙ্গলবার প্রবিত্র বালিয়াডাঙ্গী ফায়ারসার্ভিসের সামনের এক দোকান থেকে পেট্রল ও চৌরাস্তা থেকে কিটনাশক নিয়ে বিকাল চারটার দিকে উপজেলার সনগাওয়ে প্রিতির সাথে শেষ বারের মতো দেখা করেlপ্রিতি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে প্রবিত্র হাতে থাকা কিটনাশক পান করে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়lএলাকার বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায় ,প্রিতি বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গী থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেl

অন্যদিকে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিতির পুলিশ হেফাজতে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেনlএবং বিষয়টি তার জ্ঞাতার্থে নেই বলে এড়িয়ে যানlএবং তার নাম পর্যন্ত বলেন নিl

উল্লেক্ষ্য,বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)যোগদানের পর থেকেই কোন রকম তথ্য দিয়ে সাহায্যতো দূরlকখনো নামাজের কখনো ব্যাস্ততার অজুহাতে ফোন কেটে দিয়েছেনlএদিকে সাংবাদিক মহল মনে করেন,পুলিশের কাছ থেকে সাংবাদিকরা তথ্য সেবা না পেলে,উক্ত পুলিশ অফিসারের দায়িত্বশীলতা কি প্রশ্ন বিদ্ধ নয়l

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment