খালেদা জিয়ার ৭ বছর কারাদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ

খালেদা জিয়ার ৭ বছর কারাদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্কের সারমর্ম উপস্থাপন করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাত বছরের কারাদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। খালেদা জিয়াসহ চার আসামির জন্যই আদালতের কাছে এই সাজা চেয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে এ মামলার প্রথম রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক তুলে ধরে বক্তব্য দেন। এসময় তিনি ৩২ জন আসামির সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয় এবং মামলার সারমর্ম তুলে ধরেন। রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসায় স্থাপিত পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালতে এই যুক্ততর্ক উপস্থাপন হয়।

 

মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা অবস্থায় ট্রাস্ট গঠন করতে পারেন না। কারণ তিনি ১৬ কোটি মানুষের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আর এ কারণেই তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থে ট্রাস্ট গঠন করতে পারেন না।

এ আইনজীবী আরও বলেন, শপথ চলা অবস্থায় খালেদা জিয়া এই ট্রাস্ট গঠন করেছেন। তিনি ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টিও। ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী ট্রাস্ট গঠন করার জন্য তিনি কোনো টাকা দিয়েছিলেন বলে জানা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি ওই অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন।

O general AC price in Bangladesh

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর এপিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খান প্রমুখ।

অপরদিকে খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment