দোহারে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় মাদ্রাসার ছাত্রাবাস ও অর্ধশতাধিক দোকান-পাট রক্ষা পেল

দোহার(ঢাকা)প্রতিনিধি.

ঢাকার দোহার উপজেলায় বিদ্যুতের সটসার্কিটের অগ্নিকা-ে অর্ধশতাধিক দোকান-পাট ও মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেল।এ ঘটনায় সবাই দোহার ফায়ার সার্ভিসের কর্মিদের ধন্যবাদ জানান। পুলিশ ও স্থানীয়সুত্রে জানা যায়,বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের মালিকান্দা-মেঘুলা মাদ্রাসা মার্কেটের তিনতলায় বাংলালিংক কোম্পানীর টাওয়ারের ক্যাবেল রুমে হঠাৎ আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান দোতলার মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা।এ সময়ে মাদ্রাসা মার্কেটের অর্ধশতাধিক দোকানীরা ও ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা আতংগ্রস্থ হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে।স্থানীয়রা আগুনের ঘটনাটি দ্রুত দোহার ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন মাষ্টার মো.আব্দুল মান্নানকে জানালে দোহার ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার কর্মীদের নিয়ে টিম লিডার মো.গুলজার হোসেন ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ গতিতে ছুটে যায়।ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার কর্মীরা মাত্র ২০মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।ততক্ষনে বাংলালিংক কোম্পানীর প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা মুল্যের বৈদ্যুতিক মিটার ও ক্যবল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এ ঘটনায় মার্কেটের অর্ধশতাধিক দোকানঘর ও মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা সবাই শংকামুক্ত হউন।সংবাদ পেয়ে স্থানীয়রা ও ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন দরানী ছুটে আসেন।এ সময়ে ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটারদের চমৎকার অপারেশন দেখে কর্তব্যরত পুলিশ ও স্থানীয়রা মুগ্ধ হয়ে পড়েন। দোহার ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মো. আব্দুল মান্নান জানান, আমরা আগুন লাগার খবর পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং দ্রত আমাদের মই/কৃত্রিম সিড়ি বেয়ে প্রায় বিশ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। বৈদ্যতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, অগ্নিকা-ের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মাহবুবুর রহমান টিপু দোহার,ঢাকা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment