ছাতকে ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে পন্ড

হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক প্রতিনিধিঃ

ছাতকে ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ছাতক উপজেলা বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনার পর থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোন বাল্য বিয়ের খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি এখানের জনপ্রতিনিধিরা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে একটি বাল্য বিবাহ পন্ড করে দিয়ে এর প্রমান রাখলেন ইউপি চেয়ারম্যান াখলাকুর রহমান। জানা যায়, বিশ্বনাথের আমতৈল-মাকরগাঁও গ্রামের আফাজ উদ্দিনের পুত্র ইব্রাহিম আলীর সাথে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের দিঘলী চাকল পাড়া গ্রামের আয়না মিয়ার কন্যা রাইমার বিয়ের দিন ধার্য করা হয় উভয় পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে। পূর্ব নির্ধারিত দিনক্ষণ অনুযায়ী সোমবার বাদ যোহর কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতাও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগেই বাল্যবিয়েতে বাধা হয়ে দাড়ান ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান। আমতৈল-মাকরগাঁও গ্রাম থেকে বরযাত্রী নিয়ে দিঘলী চাকল পাড়া গ্রামে কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন বরসহ বর পক্ষের লোকজন। বরসহ বরযাত্রী করে বাড়ি পৌছার আগেই বাল্য বিয়ের সংবাদ পৌছে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে। তাৎক্ষনিক যোগাযোগ করে কনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউপি চেয়ারম্যান। বিয়ে পন্ড হওয়ার সংবাদ পেয়ে বর ও বরযাত্রীর গাড়ি বহর নিয়ে কনের বাড়িতে না এসে বাড়ি ফিরে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান জানান, বাল্য বিয়ের সংবাদ পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিক মোবাইল ফোনে কথা বলেন কনের পিতার সাথে। কনের জন্ম নিবন্ধন যাচাই-বাচাই করে কনের বর্তমান বয়স ১৩ বছর ১০ মাস ১৭দিন বের হয়ে আসে। য়া বিবাহ নিবন্ধন আইনের পরিপন্থি। পরে তিনি বাল্য বিয়ের যাবতীয় কুফল সম্পর্কে কনের পিতাকে অবহিত করেন। এক পর্যায়ে কন্যার পর্যাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার শর্তে কনের পিতা আয়না মিয়া অঙ্গিকারাবদ্ধ হয়েছেন বলে তিনি জানান।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment