রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৫ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক তরিকুল ইসলাম রিমনকে (২৮) গত সোমবার রাতে গ্রেফতার করে।
রিমন গোয়ালন্দ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল ওলিমদ্দিন পাড়ার মোঃ ইউনুস সরদারের ছেলে।
মামলার এজাহার সSত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রিমন বেশ কিছুদিন ধরে ওই ছাত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো। গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ীর পাশের মুদি দোকান হতে ডিম কিনে ফিরছিল। এ সময় পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা রিমন তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পাশের বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখায়। ভয় পেয়ে ওই ছাত্রী বিষয়টি চেপে রাখে। গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে ছাত্রীকে বাড়ীতে একা পেয়ে দ্বিতীয় দফায় রিমন ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার দিয়ে এবং জোর করে সেখান পালিয়ে পাশের বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে অভিভাবকরা আসলে সে আগের ঘটনাসহ পুরো বিষয়টি খুলে বলে।
এদিকে, মেয়ের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে ওই রাতেই তার বাবা তরিকুল ইসলাম রিমনকে আসামী করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত রিমনকে তার বাড়ীর পাশ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, লম্পট রিমন বিবাহিত। পাশাপাশি সে এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। এলাকার শিশু কিশোরদের ব্যবহার করে সে তার মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
গোয়ালন্দ থানার ওসি এজাজ শফি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষিত ছাত্রীকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সেই সাথে গ্রেফতারকৃত আসামী রিমনকে রাজবাড়ীর সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
