চীনে ২৭৩ জনের শরীরে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের এখনও কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

এমন পরিস্থিতিতে খুব দ্রুত একটি প্রতিষেধক তৈরির জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী বিভিন্ন প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

করোনার উৎপত্তি হওয়া চীনে করোনার তিনটি প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। এরই মধ্যে দেশটির বিজ্ঞানীরা দ্বিতীয় ধাপে মানব দেহে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছেন।

স্থানীয় সময় সোমবার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে ২৭৩ জনের শরীরে করোনার একটি ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করেছে।

এছাড়াও করোনা ভাইরাসের আরও দুটি নতুন ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে দেশটি। চীনের স্টেট কাউন্সিলের জয়েন্ট প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল ম্যাকানিজম এ ঘোষণা দিয়েছে। এ নিয়ে চীনে করোনার তিনটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।

প্রথম ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় চালানো হয় মার্চের শেষের দিকে। এটি মানব শরীরে নিরাপদ কিনা তখন সেটি দেখা হয়।

গত ১২ এপ্রিল দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে প্রথম পর্যায়ে থেকে বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়।

এই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা চীনের শীর্ষস্থানীয় এপিডেমিওলজিস্ট এবং ভাইরোলজিস্ট চেন ওয়ে বলেন, এই ধাপে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ওপর ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন বলেন, এই ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা করবে। করোনার ভাইরাল অংশ এস জেনেটিক সিকুয়েন্সের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে ভ্যাকসিনটি। একবার ভাইরাস সংক্রমণ হলে শরীর এই এস জিন এবং পুরো ভাইরাস শনাক্ত করে প্রতিরোধ করবে।

এছাড়া বেইজিং ভিত্তিক একটি ইউনিট সিনোভাক বায়োটেক এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চীন ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের সহযোগী উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকাল প্রোডাক্টস পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনগুলো ডেভেলপ করছে।

facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
linkedin sharing button Share

আপনি আরও পড়তে পারেন