নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলনে গ্রাম বিলীনের আশঙ্কা

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। বালু উত্তোলনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে রাতের আঁধারে নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করে নিচ্ছে ইজারাদাররা। এতে করে নদীর তীরের গ্রামগুলি নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নাদীর পাড়ের বাসিন্দারা। 

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নলচর ও মইষারচর দুইটি বালু মহাল রয়েছে। এর মধ্যে নলচর এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা পান মেসার্স ভূইয়া এন্টারপ্রাইজ এবং মইষারচর এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা পান নার্গিস এন্টারপ্রাইজ। ইজারায় উল্লেখিত এলাকা থেকে তারা বালু উত্তোলন না করে তারা তাদের উত্তোলন খরচ কমাতে এবং অতিরিক্ত বালু তুলতে রাতের আঁধারে নদীর তীরে চলে আসে।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিলন সরকার বলেন, ইজারাদাররা রাতের আঁধারে সোনাকান্দা এলাকায় ও মইষারচর, রাম প্রসাদেরচর এসে বালু উত্তোলন করে। এতে নদীর তীরের গ্রামগুলি ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি ইজারাদারদের প্রতি অনুরোধ করেন, যেখানে ইজারা দেওয়া হয়েছে সেখান থেকেই যেন বালু উত্তোলন করা হয়।

এ বিষয়ে ইজারাদার কাইয়ুম হোসেন বলেন, আমরা নির্দিষ্ট এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে আসছি, এতে কারো ক্ষতি হচ্ছে না।

অপর ইজারাদার লতিফ চেয়ারম্যানকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মেঘনা থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, তারা নদীর তীরে চলে আসে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েও তাদেরকে পাইনি। কোন ড্রেজারও পাইনি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন, যারা ইজারাদার তারা কোটি টাকা খরচ করে ইজারা আনে। তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট এরিয়া থেকে বালু উত্তোলনের নির্দেশ দেয়া হয়, কিন্তু তারা ওই এলাকা ছেড়ে নদীর তীরে চলে আসে। এতে করে নদীর পাড়ের গ্রাম গুলি ভাঙনের আশঙ্কা থাকে। বালু উত্তোলনের ফলে কোনো গ্রামের যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রবীর কুমার রায় বলেন, আমি এখানে যোগদান করেছি ৫ মাস হচ্ছে, যোগদানের পর থেকেই মৌখিক অভিযোগ শুনে আসছি। কিন্তু আমরা সরেজমিনে গিয়ে বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার পায় না। এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার লিখিত অভিযোগও করেনি। যদি কোনো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমি প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেবো।

আপনি আরও পড়তে পারেন