মাওয়ায় ইলিশের দাম কমেছে

মাওয়ায় ইলিশের দাম কমেছে

মুন্সিগঞ্জের মাওয়া মৎস্য আড়তে বড় বড় ইলিশসহ নানা রকমের মাছের ব্যাপক সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিদিন ভোরে জেলেরা তাজা ইলিশ নিয়ে পদ্মাতীরের আড়ৎটিতে আসেন। সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের মাছের দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে আড়াই শ’ টাকা পর্যন্ত। 

ভোরেই আড়তগুলো পদ্মার ইলিশে সয়লাব হয়ে যায়। হাঁকডাকে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ক্রেতার তুলনায় রূপালী ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় ইলিশের দাম কমেছে ১শ’ থেকে আড়াই শ’ টাকা পর্যন্ত।

ক্রেতারা বলছেন, এত বড় আকারের ইলিশ এর আগে দেখা যায়নি। হাটে এখন দুই আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ মাছও উঠছে।

এদিকে নানা সমস্যায় জর্জিত পদ্মা তীরের মাওয়া মৎস্য আড়তটির আধুনিকায়ণ জরুরি। ক্রেতা-বিক্রেতা সংকুলান হচ্ছে না। রয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেট সঙ্কটও।

এই তথ্য দিয়ে মাওয়া মৎস্য আড়তের সভাপতি ছানা রঞ্জন দাস বলেন, ভোরে এই দেশ সেরা ইলিশের হাটে সারি সারি ইলিশে ভরে যাচ্ছে। তাজা ফ্রেস এমন ইলির হাটে নানা রকমের ক্রেতা আসেন। সবাই এত্ত ইলিশ দেখে আভিভুত।

ঢাকা থেকে ইলিশ কিনতে আসা লোককজন কেবল ২৯টি আড়তে আর ১৫০জন বিক্রেতার মাধ্যমে প্রতিদিনের আড়াই ঘণ্টার হাটে কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়।  

বুধবার (০২ ডিসেম্বর) মাওয়া মৎস আড়তে প্রতি বড় ইলিশ ৯০০-৯৫০ টাকা, মাঝারি ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৩০০-৫০০ টাকা, কৈ ১৩০- ১৪০ টাকা, শিং  ২৫০- ২৬০ টাকা, চিতল ৩০০-৭০০ টাকা, তাজা রুই ৩০০-৩৫০ টাকা, চিংড়ি ৫৫০-৬০০ টাকা, পাবদা ২৫০-২৬০ টাকা, আইড় ৫০০-১৪০০ টাকা, বোয়াল ৭০০-১২০০ টাকা, সরপুটি ১২০-১৩০ টাকা, নলা ১৩০-১৪০ টাকা, পোয়া ১২০-২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৫০ টাকা, নদীর পাঙ্গাস ৯০০-৯৫০ টাকা, কাতল ১৩০-১৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০-১০৫ টাকা, টেংরা ৩০০-৪০০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন